বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করা হচ্ছে ভারতে। দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর দেয়া এমন ঘোষণায় মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়লেও ছেলেদের ক্ষেত্রে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছরই থাকছে। যদিও ভারতের কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন একাধিক নেতা। এর মধ্যে এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও অন্যতম।
জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে কটাক্ষ করে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, একজন ১৮ বছর বয়সী মেয়ে যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী বাছাই করতে পারেন তাহলে জীবনসঙ্গী কেন নয়? ওয়াইসির মতে, ১৮ বছর বয়সে একটি মেয়ে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, ১৮ বছর বয়সে একজন মেয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, ব্যবসা শুরু করতে পারে, প্রধানমন্ত্রী-সংসদ সদস্য-বিধায়ক নির্বাচন করতে পারেন। তাহলে জীবনসঙ্গী নয় কেন? আমি মনে করি যে, ছেলেদেরও বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা উচিত।
আরও পড়ুন: মাত্র ৬০ টাকায় কোটিপতি ভ্যানচালক ফজলে মিয়া
এর আগে, গত প্রজাতন্ত্র দিবসের ভাষণে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা দিয়েছিলেন, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়িয়ে ২১ করা হবে। এরপর এ বিষয়ে নীতি প্রয়োগের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। চলতি মাসে প্রতিবেদন জমা দেয় সেই টাস্কফোর্স। এতে বয়স বাড়ানোর পক্ষেই মত দিয়েছে তারা। তারপরেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়।
Leave a reply