ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে ভোলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফসলের মাঠে সমানতালে কাজ করছে গ্রামের নারী-পুরুষ। পানিতে ডুবে থাকা ধান তুলে নিজেদের প্রচেষ্টায় তা সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে। লাভের মুখ না দেখলেও কিছুটা চালান যেন ঘরে আনা যায় সে চেষ্টাই গ্রামবাসীর মাঝে।
এ যেন দম ফেলানোর সময় নেই। দিনের প্রতিটি মুহূর্তই গ্রামের নারী-পুরুষ সমানতালে চালাচ্ছেন তাদের কর্মযজ্ঞ। মাঠেই চুলো বানিয়ে ধান সিন্ধ করে চলছে রৌদে শুকানোর কাজ। এভাবেই মাঠের পর মাঠ পানিতে ডুবে থাকা আমন ধান জমি থেকে আগাম কেটে সংরক্ষণের চেষ্টায় ব্যস্ত চাষীরা।
প্রতি বছরই জেলায় আমনের বাম্পার ফলনে ছাড়িয়ে যায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা। তবে এবার যে সময় ধান পাকতে শুরু করেছে ঠিক তখন আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ কেড়ে নিয়েছে চাষিদের স্বপ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সরকারিভাবে প্রণোদনা দেয়ার আশ্বাস দিলেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবীর।
চলতি মৌসুমে জেলায় আমন আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষমাত্র সাড়ে ৪ লাখ টন।
এদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির সরাসরি প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। নতুন ফলনে বিঘাপ্রতি উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, দেড় থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে টিলার ব্যবহারের খরচ। এ নিয়ে প্রতিবেদনটি পড়ুন লিংকে।
/এডব্লিউ
Leave a reply