আগে মালয়েশিয়া যেতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার প্রয়োজন হতো, এখন থেকে যাওয়া আসার সকল ব্যয় বহন করবে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। গত রোববার মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ একথা জানিয়েছেন। শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়েই ওই চুক্তি করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সব সংকট কাটিয়ে অবশেষে খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সাম্প্রতিক চুক্তি নিয়ে প্রবাসী কর্মী ও জনশক্তি রফতানিকারক সবাই খুশি। বিশ্লেষকরা যদিও মনে করেন, শ্রমবাজারটি টেকসই করতে অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। এবার প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর ঘোষণায় অভিবাসন ব্যয় সংকোচনেরেই ইঙ্গিত পাওয়া গেলো।
প্রসঙ্গত, চুক্তি স্বাক্ষরের আগে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর আবারও চালু হতে যাওয়া এই শ্রমবাজারে এবার কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। সব খাতেই কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির কয়েক দফা আলোচনার পর নীতিমালা ঠিক হয়েছে, যেটি অনুমোদন দিয়েছে দুদেশেরই মন্ত্রীসভা। এবার সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য সমান সুযোগ থাকছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর খবরে খুশি জনশক্তি রফতানিকারকরা। তবে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে বলেও মনে করেন শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অভিবাসন ব্যয় কমানোরও পরামর্শ তার। আর অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে তদারকি টিম গঠনের দাবি জনশক্তি রফতানিকারকদেরও।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী জানান, কর্মীর ব্যয় বহন করবে মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। কর্মী প্রতি খরচ কতো হতে পারে তার ধারণাও নেওয়া হবে। এছাড়া কোনো এজেন্সিই নির্ধারিত সীমার বাইরে কর্মীর কাছ থেকে টাকা নিতে পারবে না।
প্লানটেশন, নির্মাণসহ বিভিন্ন সেবাখাতে কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। সরকার বিদেশের চাহিদের সাথে সঙ্গতি রেখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে। নতুন নতুন শ্রমবাজার তৈরিতেও উদ্যোগ নিয়েছে তারা। অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
এছাড়া অভিবাসী দিবসের ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনও জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যগামী প্রবাসীদের বিমান ভাড়া কমিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। এতে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলেও মনে করেন তিনি। এছাড়া তাদের সহজে পাসপোর্ট পাওয়ার বিষয়েও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান আব্দুল মোমেন।
এছাড়া আগামীতে প্রবাসী আয়ের ওপর ৩ শতাংশ প্রণোদনা দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
এর আগে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সরকার বিদেশের চাহিদের সাথে সঙ্গতি রেখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে। নতুন নতুন শ্রমবাজার তৈরিতেও উদ্যোগ নিয়েছে তারা। তার বক্তব্যটি পড়ুন এখানে।
/এডব্লিউ
Leave a reply