সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর তিনটায় এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পিয়ারা খাতুন। কিন্তু ভুক্তভোগী ওই নারী অন্তঃস্বত্ত্বা থাকা অবস্থাতেই তাদের বিয়ে ও গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে স্বামী। এ নিয়ে একটি মামলার তদন্ত এখনও চলমান। এরই মধ্যে ওই নারী সন্তান প্রসব করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা থেকে শুরু করে নবজাতকের দেখভালের যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার।
মামলার বিবরণ ও সিআইডি সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে শাহজাদপুরের জামিরতা গ্রামের মৃত সোরমান মন্ডলের মেয়ে পিয়ারা খাতুনের বিয়ে হয় চৌহালীর জিদপুরে। তবে সে বিয়ে টেকেনি বেশিদিন। বছর খানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুলের সাথে মোবাইলে নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পিয়ারা। একসময় বিয়েও করেন তারা।
পরে গার্মেন্টস কারখানায় কাজের জন্য ঢাকায় চলে আসে পিয়ারা-হাফিজুল। এক পর্যায়ে পিয়ারা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে বাচ্চা প্রসবের জন্য তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় হাফিজুল। আর এরপর থেকেই গর্ভের সন্তানসহ পিয়ারার সাথে হওয়া বিয়েও অস্বীকার করে হাফিজুল। এমনকি কাজীও তাদের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি পিয়ারার।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
এ নিয়ে গত নভেম্বর মাসে শাহজাদপুর আদালতে বিয়ে এবং অনাগত সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন পিয়ারা। আর এই অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে সিরাজগঞ্জ সিআইডি। তদন্ত এখনো চলছে। এরই মধ্যে সোমবার প্রসবের ব্যাথা উঠলে স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মী মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন দেন পিয়ারা। মানবিক কারণে সিআইডির কর্মকর্তা শাহজাদপুরের জামিরতা থেকে পিয়ারা সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে এনে প্রসবের সকল ব্যবস্থা করেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান।
সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার কামাল হোসেন যমুনা টেলিভিশনকে জানান, মেয়েটির পিতৃত্বের পরিচয় সঠিকভাবে নিরুপনের জন্য সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন। মানবিক কারণেই তারা গর্ভবতী মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মামলার সঠিক তদন্ত ও ফুটফুটে শিশুটির পিতৃত্ব নির্ধারণে তারা সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে অসহায় এ মা ও শিশুটির পাশে থাকবেন।
এসজেড/
Leave a reply