রাজধানীর মিরপুরে পূর্ব কাজিপাড়ায় একটি মিনি এম্ব্রয়ডারি কারখানায় আগুনে তিনজন দগ্ধ হয়েছে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন, মাইনুদ্দিন, আল-আমিন ও মাসুম। সবার শ্বাসনালীসহ মাইনুদ্দিন ও মাসুমের শরীরের ৮০ ভাগ ও আল-আমিনের শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে।
রাত তিনটার দিকে সাদিদ এম্ব্রয়ডারি নামে ওই কারখানাতে আগুন লাগে। তখন রাতের শিফটে দুই কিশোরসহ ৫ শ্রমিক কাজ করছিলো। আগুন লাগার সাথে সাথে দু’জন বাথরুমে ঢুকে যাওয়ায় রক্ষা পেলেও বাকি তিনজন দগ্ধ হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আবাসিক এলাকায় ছয় তলা ভবনের নিচতলায় অবৈধভাবে কারখানাটি চালিয়ে আসছিলেন ফারুক হোসেন ভূইয়া নামের এক ব্যক্তি। অগ্নিকান্ডের পর থেকেই পলাতক তিনি।
শিশু শ্রমিক আলি আজগর জানায় তাদের বেচে ফেরার ঘটনা। কারখানার ভিতরে আগুন দেখে সবাই চিৎকার করে ওঠে মা মা বলে আর বলে আমাদের বাঁচান। পরে আজগরসহ আরও দুইজন প্রাণ বাচাতে আশ্রয় নেয় বাথরুমে। পরে বাথরুমের জানালা দিয়ে শব্দ করলে আশেপাশের মানুষ বুঝতে পেরে জানালা বেঙে তাদের রক্ষা করে।
এবিষয়ে মিরপুর জোন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল-আরেফীন বলেন, এখানে এসি ব্যবহার হয় যার কারণে বন্ধ ছিল সবকিছু আর বোঝার কোন উপায় নেই যে এখানে একটা কারখানা আছে।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক উম্মে সালমা জানান, আগুনে দগ্ধ তিনজনেরই অবস্থা ভালো নয়। তারা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।
যমুনা অনলাইন: আরএম
Leave a reply