প্রতিরোধ দিবসকে কেন্দ্র করে গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের শত শত নাগরিক।
শুক্রবার এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
এই ঘটনায় জাতিসংগের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গাটার্স নিরপেক্ষ তদন্তের আহবান জানিয়েছেন।
প্রতিরোধ কর্মসূচি পালনে সম্প্রতি ইসরায়েল সীমান্ত বরাবর পাঁচ স্থানে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছেন। কমপক্ষে ছয় সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সীমানা বরাবর তারা তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ওই স্থানগুলো ইসরায়েলের মোতায়নে করা সেনা সংখ্যা ৩০ হাজার।
কুয়েতি কূটনীতিকের আহবানে শুক্রবার উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, “জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার পন্থা ব্যবহার করেছি, এবং উস্কানিদাতাদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুঁড়েছি। সীমানার কাঁটাতারের বেড়া ও সৈনিকদের দিকে প্রতিরোধকারীদের কেউ কেউ জ্বলন্ত টায়ার গড়িয়ে দিচ্ছিল, এবং ঢিল ছুঁড়ছিল।”
নিহতদের মধ্যে দুইজন হামাস সদস্য ছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৪০০ জন গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন। অন্যরা রাবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাসের কারণে আহত হয়েছেন।
তারা আরও জানিয়েছে, প্রতিরোধকারীদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের সেনারা বেশির ভাগ সময়ই গুলি ছুঁড়েছিল। পাশাপাশি কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেটও ছুঁড়ে মেরেছিল। ট্যাঙ্কের গোলায় মারা গেছে দুই জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপে সেনারা ড্রোন ব্যবহার করেছে।
ইসরায়েল কর্তৃক ১৯৭৬ সালে ভূমি দখলের ঘটনায় ছয় জন আরব নাগরিক নিহত হয়েছিল। সেই থেকে ওই দিনটিকে প্রতি ব্ছর ‘ভূমি দিবস’ হিসেবে পালন করে ফিলিস্তিন। ‘ভূমি দিবস’ উপলক্ষে এবারের প্রতিরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply