ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে রাশিয়ার নতুন বিমান

|

ছবি: সংগৃহীত।

প্রথমবারের মতো আকাশে উড়লো রাশিয়ার নিজস্ব নকশা, প্রযুক্তি ও কাঁচামালে তৈরি যাত্রীবাহী বিমান এমএস-২১-৩০০। বিমানের বাজারে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস আর বোয়িংকে টেক্কা দেয়ার লক্ষ্যেই রাশিয়া এই বিমান আনলো।

অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, ফাইটার জেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির জন্য রাশিয়ার সুখ্যাতি থাকলেও যাত্রীবাহী বিমানের ব্যবসায় তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি দেশটি। নতুন বিমানটি সর্বোচ্চ ২১১ জন যাত্রী পরিবহনে সক্ষম।

ইউনাইটেড এয়ারক্রাফট করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউরি স্লুসার বলেন- নিজস্ব নকশায়, সব নতুন সরঞ্জাম দিয়ে বিমানটি বানানো হয়েছে। কয়েক দফা পরীক্ষা চালিয়েছি আমরা। অভ্যন্তরীন ব্যবহারের জন্য মাত্র ৬টি বিমান তৈরি করা হয়েছে। চাহিদা থাকলে বাড়ানো হবে সংখ্যা।

রাশিয়ার ওপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ’র চাপ। সম্প্রতি, ইউক্রেনের সাথে টানাপোড়েনের কারণে আমদানি করা যাচ্ছে না বিমান তৈরির কাঁচামাল। তাই দেশীয় প্রযুক্তিতেই তৈরি করা হলো এই যাত্রীবাহী বিমানগুলো।

রাশিয়ার তৈরি এমএস-২১-৩০০ যাত্রীবাহী বিমানকে বলা হচ্ছে সর্বাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব। তারা টেক্কা দিতে চায় বোয়িং এবং এয়ারবাসকে।

রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ডেনিশ মান্তুরোভ জানান, রোসাটোম এবং মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় উপাদানগুলো বানানো হয়েছে। বিমানটি শতভাগ রাশিয়ার তৈরি। এর মান আমদানিকৃত উপাদানের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়। সরকারের পক্ষ থেকেও সব রকম পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়েছে।

প্রশাসনের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছে এমএস-২১-৩০০। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ বিমানগুলো বুঝে পাবেন ক্রেতারা।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply