জেমস অ্যান্ডারসনের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিনেই অজিদের সুবিধাজনক জায়গা নিয়ে গেছেন মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ড। এই দুই পেসারের দারুণ বোলিংয়ে ফিকে হয়ে গেছে দিনের শুরুতে অ্যান্ডারসনের এনে দেয়া ইংলিশদের ম্যাচে ফিরে আসার সম্ভাবনা।
অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। স্টার্ক ও বোল্যান্ডের দারুণ বোলিংয়ে জো রুট টিকে থাকলেও ম্যাচে খুব একটা টিকে নেই তার দল। ৪ উইকেটে ৩১ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করেছে ইংলিশরা। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। জেমস অ্যান্ডারসনের ৪ উইকেটের সাথে উড-রবিনসনরাও যোগ দিলে লাবুশেন-স্মিথরা আর গড়তে পারেননি এ যাত্রা বড় কোনো সংগ্রহ।
দিনের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন আগের দিনে নামা নাইটওয়াচম্যান নাথান লায়ন। সুবিধা করতে পারেননি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন। ফাস্ট বোলিংয়ের অনুপম প্রদর্শনীতে মার্ক উড ফিরিয়েছেন লাবুশেনকে। উডের বল মোকাবেলা করতে বেশ কষ্ট হয়েছে অজি ব্যাটারদের। স্টিভেন স্মিথও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি ক্রিজে। মাত্র ১৬ রান করে অ্যান্ডারসনের বলে প্লেইড-অন হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একপাশ আগলে রাখা ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ৭৬ রানে ফিরলে ১৮০ রানে ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ২৬৭ রানে থামে অজিদের ইনিংস। নিজেদের প্রথম ইনিংসে আবারও ভরাডুবির পর প্রতিপক্ষের চেয়ে ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে হয়তো খুব একটা অখুশি ছিলেন না জো রুট।
তবে ইনিংসের শুরু থেকেই আবার ব্যাটিং ধসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে পেছনের পায়েই চলে গেছে ইংল্যান্ড। ২২ রানে টপ অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে দলটি। ওপেনার জ্যাক ক্রলি এবং তিনে নামা ডেভিড মালানকে টানা দুই বলে ফিরিয়ে দেন পেসম্যান মিচেল স্টার্ক। এরপর প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেই অভিষিক্ত পেসার স্কট বোল্যান্ড সাজঘরে পাঠিয়েছেন হাসিব হামিদ ও নাইটওয়াচম্যান জ্যাক লিচকে। ইংলিশদের একমাত্র আশার সলতে জ্বালিয়ে ক্রিজে টিকে আছেন জো রুট। টেস্টটি বাঁচাতে হলে বিশাল ইনিংস খেলতে হবে তাকে। তাছাড়া এক বর্ষপঞ্জিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার জন্যও এই ইনিংসে সেঞ্চুরি চাই রুটের।
আরও পড়ুন: করোনায় ভেস্তে যেতে বসেছিল বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিন!
Leave a reply