কৃষকের ফসলে সুদ কারবারির হানা

|

তিস্তার বুকে জেগে ওঠা রূপালি বালুর চর এই শীত মৌসুমেও ঢাকা পড়েছে সবুজের চাদরে। বন্যার ধকল কাটিয়ে শত শত কৃষকের ফসলের মাঠে চলছে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা। তবে ব্যাংক থেকে সুদবিহীন শষ্য ঋণ না পাওয়ায় তাদের দ্বারস্থ হতে হয় দাদন ব্যবসায়ীদের। আর এর ফলে কৃষকের লাভের অংশে বড় ভাগ বসাচ্ছে সুদের কারবারিরা। কৃষক বলছেন, তৃণমূলে প্রণোদনা দিলে ফসলের উৎপাদন বাড়ার পাশাপাষি চরবাসীও স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে।

তিস্তার বুক চিরে বিস্তীর্ণ বালুচর। এসব চরে ভুট্টা, সরিষা, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের আবাদ চলছে। নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা উপজেলার ২৩টি চরে ৩ হাজার ২৭৩ হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে এসব ফসল।

গেল বন্যায় সহায় সম্বল হারানো মানুষগুলো এখন ঘুরে দাঁড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসলের মাঠে। ডিজেল ও সারের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। দাদন ব্যবসায়ীদের সুদ পরিশোধেই চলে যাবে বড় অঙ্কের টাকা। আর এ নিয়ে কৃষকের দুশ্চিন্তা।

তবে নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিডি আবু বক্কর সিদ্দিক জানালেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্যে সহযোগিতা কার্যক্রম চালু রেখেছেন তারা।

উর্বর চরে স্বাচ্ছন্দে ফসল ফলাতে প্রয়োজন প্রণোদনা এবং সুদবিহীন শষ্য ঋণ। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply