গত ২৭ ডিসেম্বর যমুনা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ‘প্লট পেতে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছে’ শিরোনামের সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় গৃহায়ণ ঢাকা উপ বিভাগ-১ ও ২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তৌফিকুল ইসলাম এবং মো. রাদিউজ্জান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদে বলা হয়, যমুনা টেলিভিশনে গত ২৭ ডিসেম্বর সম্প্রচারিত জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর উল্লা মজুমদার কর্তৃক তথ্য প্রমাণহীন অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রতিবাদে আরও বলা হয়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ হতে উপ-পরিচালক কর্তৃক প্রেরিত একটি পত্রের আলােকে জমি বরাদ্দের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী, ঢাকা ডিভিশন-১ দফতর কর্তৃক মিরপুর সেকশন-৬ এর একটি জমির সরজমিনে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। আমি মাে. তৌফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ঢাকা উপ-বিভাগ-১ উল্লিখিত এলাকার মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনে নিয়োজিত রয়েছি। ৫/১০/২০১১ তারিখে আমি প্রধান কার্যালয়ের প্রতিবেদনের পত্রটি গ্রহণ করি। সে অনুযায়ী গত ২৪/১০/২০২১ তারিখে অত্র দফতরে সার্ভেয়ার আব্দুর রহমানসহ সরজমিনে পরিদর্শন করে গত ২৫/১০/২১ তারিখে সার্ভেয়ারসহ যৌথভাবে স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বরাবর প্রেরণ করি। উক্ত সরজমিনে পরিদর্শন প্রতিবেদন সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ গত ৩১/১০/২০২১ তারিখে বরাদ্দ সংক্রান্ত সরজমিনের প্রতিবেদনটি নির্বাহী প্রকৌশলী, ঢাকা ডিভিশন-১ বরাবর প্রেরণ করেছেন। ২/১১/২০২১ তারিখে নির্বাহী প্রকৌশলী প্রধান কার্যালয়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করেন। আমি মাে. রাদিউমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগ-২। উল্লিখিত এলাকার মাঠ পর্যায়ের প্রতিবেদনের সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, কারণ আলোচ্য বরাদ্দের প্রতিবেদনের বিষয়টি উপ-বিভাগ-১ এর আওতাধীন। সম্প্রচারিত সংবাদে উল্লিখিত তথ্য ও ভিডিওতে অভিযোগকারীর বর্ণনা অনুযায়ী বিষয়টি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, প্রধান কার্যালয় হতে চাহিত তথ্য অনুযায়ী অত্র দফতর হতে প্রতিবেদন প্রেরণের ২০ দিন পর ঘুষ চাওয়া এবং প্রেরিত প্রতিবেদনের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি অবাস্তব ও বানোয়াট।
Leave a reply