গোবিন্দগঞ্জে বিজয়ী প্রার্থীর হামলায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

|

প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সাহারুল ইসলাম।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

বিজয়ী মেম্বার প্রার্থীর হামলায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের হরিরামপুর ইউনিয়নে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সাহারুল ইসলামের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের অভিযোগ, বিজয়ী মেম্বার ও যুবলীগ নেতা ফিরোজ কবীরসহ তার সমর্থকরা বিজয় মিছিল থেকে এ হামলা চালায়।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সাহারুল ইসলাম ওই ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য (মেম্বার) এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি হরিরামপুর গ্রামের মৃত্যু আলাউদ্দিনের ছেলে।

সাহারুল ইসলামের বড় ছেলে শিহাব মিয়া জানান, বিকেলে তার বাবা দাওয়াত খেতে পাশ্ববর্তী গ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় নির্বাচিত মেম্বার ফিরোজ কবীরের বিজয় মিছিলে নিজের এক কর্মীকে মারধরের খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি।

শিহাবের অভিযোগ, সেখানে পৌঁছানো মাত্রই বাবার ওপর হামলা চালায় তারা। হামলায় বুক ও অন্ডকোষে আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মারা যান তিনি। পরিকল্পিত হামলার ঘটনায় বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন শিহাব।

এদিকে, সাহারুল ইসলামের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন তার স্বজনসহ কর্মী-সমর্থকরা। এসময় তারা ফিরোজ কবীরসহ হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সুমাইয়া জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। অভ্যন্তরীণ আঘাত কিংবা হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এদিকে ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল পরির্দশন করেছে স্থানীয় পুলিশ। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান পরির্দশনে আসা সদর থানার (এসআই) মো. জহুরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে হরিরামপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে (টিউবয়েল) প্রতীকে ৮৩৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হন সাহারুল ইসলাম। আর ফুটবল প্রতীকে ৯৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ফিরোজ কবীর। ফিরোজ কবীর হরিরামপুর ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি। তবে অভিযোগের বিষয়ে কয়েকবার ফোন করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বিজয়ী মেম্বার ফিরোজ কবীরের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply