প্রথমবারের মতো স্থায়ী ঠিকানায় আয়েজিত হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এবারের মেলা আয়োজিত হয়েছে রূপগঞ্জ থানার পূর্বাচল সিটিতে। সকালে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মেলা। মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, তবে শিশুদের জন্য টিকিটের মূল্য রাখা হচ্ছে ২০ টাকা। মেলায় যাওয়ার জন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আলাদা বাস সার্ভিস চালু করেছে বিআরটিসি।
শনিবার (১ জানুয়ারি) উদ্বোধন করা হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৬তম আসর। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে মেলা।
এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ২৩টি বড় প্যাভিলিয়ন রয়েছে, মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে ২৭টি। এছাড়া ১৬২টি স্টলের পাশাপাশি থাকছে ১৫টি খাবারের স্টলও। মেলার প্রথম দিনেও অনেক স্টল নির্মাণাধীন দেখা যায়। কিছু কিছু স্টলে চলছে সৌন্দর্যদর্ধনের কাজ।
মেলা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিআরটিসির ৩০টি বাস পূর্বাচলে যাতায়াত করবে। কমলাপুর থেকে রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে বাণিজ্য মেলা এবং শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কুড়িল হয়ে বাণিজ্য মেলা পর্যন্ত এসব বাস চলবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে দর্শনার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী দোতলা বাস সরবরাহ করবে বিআরটিসি।
মেলা শুরু হলেও বিদেশি স্টলের উপর মহামারির প্রভাব রয়ে গেছে। কেবল তুরস্ক, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকটি কোম্পানি মেলায় অংশ নিচ্ছে। থাইল্যান্ডের কয়েকটি কোম্পানিও প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেলায় অংশ নিচ্ছে। তবে মেলার নিয়মিত অংশ নেওয়া ইরান এবার থাকছে না।
১৯৯৫ সাল থেকে শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এই কারণে স্থানটি মেলা মাঠ নামেও পরিচিতি পেয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শেরে বাংলানগরে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বসেছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে পূর্বাচলে মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হলেও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা আর মাঠে গড়ায়নি। এবার ২৬তম আসর পূর্বাচলেই বসতে যাচ্ছে।
২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ করার ঘোষণা দেয় তারা। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শনী কেন্দ্রটি ইপিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
প্রদর্শনী কেন্দ্রের মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। ভবনের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। দোতলা পার্কিং ভবনে ৭ হাজার ৯১২ বর্গ মিটার জায়গায় ৫০০ গাড়ি রাখা যাবে। এছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনে খোলা জায়গায় রাখা যাবে আরও এক হাজার গাড়ি।
/এডব্লিউ
Leave a reply