কুয়েটের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিজানসহ ৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ৩০ নভেম্বর কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনকে সাথে নিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তার কক্ষে প্রবেশ ও পরে কক্ষ থেকে বের হওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ২০/২২ জনের একদল শিক্ষার্থী শিক্ষক সেলিম হোসেনকে ক্যাম্পাসে গতিরোধ করেন এবং এক পর্যায়ে ড. সেলিমের কক্ষে প্রবেশ করেন। সিসিটিভির ফুটেজ অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রায় ৪৫ মিনিট তারা শিক্ষক সেলিম হোসেনের কক্ষে অবস্থান করেন।
কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, মূলত লালন শাহ হলের নতুন ডাইনিং ম্যানেজার নিয়োগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ওই অংশটি প্রভাব খাটিয়ে হলের প্রভোস্ট সেলিম হোসেনকে নাজেহাল করে। এ অবস্থায় সেখানেই তিনি মাইনর স্ট্রোক করেন। পরে বাসায় যাবার পর অসুস্থ হয়ে বাথরুমে পড়ে যান। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে কুয়েট মেডিকেল সেন্টার ও পরে নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়ার পথে মারা যান।
ঘটনার দিন রাতে ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষকের সাথে যারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে তাদের শাস্তির দাবি করেছে। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে শান্ত হন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ‘মানসিক পীড়নেই মৃত্যু হয়েছে কুয়েট অধ্যাপক সেলিমের’
Leave a reply