নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে লড়তে গিয়ে বিএনপির সব কমিটি এবং বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য পদসহ সংগঠনটির সব ধরনের পদ থেকে অব্যহতি পেয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। এবারের নাসিক নির্বাচনে তিনি লড়ছেন তার ভাতিজি আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে। মূলত এই দুই প্রার্থী একে অপরকে চাচা-ভাতিজি বলে সম্বোধন করেন।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে আইনজীবী ফোরামের দফতরের দায়িত্বে থাকা আবদুল্লাহ আল মাহবুব স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয় তৈমূরকে অব্যাহতি দেয়ার কথা। ওই চিঠির অনুলিপি বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী ও তৈমূর আলম খন্দকারকে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য তৈমূর আলম খন্দকারকে সংগঠনের সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২৫ ডিসেম্বর নাসিক নির্বাচনে হাতি প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূরকে জেলা বিএনপির আহবায়কের পদ থেকে সরিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হিসেবে মনিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয় বিএনপি। ওই ঘটনার পর ৩ জানুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকেও তৈমূরকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপরই তৈমূর গণমাধ্যমের কাছে জানিয়েছিলেন, কমিটি থেকে প্রত্যাহার করা হলেও নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ে যাবেন তিনি। আগামী ১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জেলা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠনের পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়ায় তৈমূর এখন কাগজে-কলমে দলটির কিংবা দলের সমর্থিত কোনো সংগঠনের কমিটির সঙ্গে যুক্ত নেই।
বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময়ে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না দলটি। এ কারণে এবারের স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। তবে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে স্বতন্ত্রভাবে লড়তে দেখা গেছে। তৈমূরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীক নিয়ে নাসিক নির্বাচনে অংশ নিলেও সব কমিটি থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এছাড়া এবারের নাসিক নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারসহ দলটির পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। পরে তৈমূর ছাড়া সবাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে দাঁড়ানোয় ২০১৬ সালেও দলীয় পদ হারান তৈমূর আলম খন্দকার।
এমএন/
Leave a reply