জুলাইয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতের উদ্বৃত্ত তারল্য ২ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ২ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত তারল্য কমেছে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর ফলে ব্যাংক খাতের উদ্বৃত্ত তারল্যের বোঝা কিছুটা হালকা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গত নভেম্বরে ব্যাংক খাতে মোট তরল সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪৭ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। ওই সময়ে ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থ সংরক্ষণের (সিআরআর) দরকার ছিল ৬১ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। বিধিবদ্ধ তরল সম্পদ সংরক্ষণে দরকার ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। সিআরআর ও এসএলআর সংরক্ষণের পর ব্যাংকগুলোর হাতে ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। যা উদ্বৃত্ত তারল্য হিসাবে ব্যাংক খাতে পরিচিত। গত জুন শেষে ব্যাংক খাতে উদ্বৃত্ত ছিল ২ লাখ ৩১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা।
মূলত ২০২০-২১ অর্থবছর জুড়েই ব্যাংকে তারল্যের পাহাড় জমতে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, করোনা মহামারির মধ্যে ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কার্যক্রমসহ সব ধরনের বিনিয়োগে ভাটা পড়ে। এছাড়া রেমিট্যান্সও সে সময় বেশি আসছিল। একই সঙ্গে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় নগদ অর্থছাড়ের ফলে ওই সময় থেকেই ব্যাংকে উদ্বৃত্ত তারল্য বাড়তে থাকে।
তবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফেরায় গত নভেম্বরে ব্যাংক খাতের উদ্বৃত্ত তারল্য কমে আসে। কোভিডের প্রকোপও তখন কমে এসেছিল এবং রেমিট্যান্স প্রবাহও কমেছিল। তবে এখন নতুন করে ওমিক্রনের আতঙ্ক ও উদ্বেগ কাজ করছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
/এডব্লিউ
Leave a reply