শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক

|

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭ তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৮ জানুয়ারি। মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। এরইমধ্যে কিছু ঘটনা বাড়িয়ে দিয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

গতবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি ১৮৪ জন চলচ্চিত্র শিল্পী। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য হয়েও তারা বর্তমান কমিটির আপত্তির মুখে হারান ভোটাধিকার। তারপর থেকেই চলছিল আইনি লড়াই। ১৮৪ জনের পক্ষে ১৮ জন আদালতে মামলা করেছিলেন। ১০ দিনের মধ্যে ১৮৪ জন সদস্যের ভোটাধিকার ফেরত দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত, এমনটা দাবি শিল্পীদের।

তবে এ খবর ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। জানান, সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার খবরটি সঠিক নয়। আদালত এমন কোনো নিদের্শনা দেননি। সমিতির সদস্য হতে হলে একজন শিল্পীকে অন্তত পাঁচটি চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। সমিতির গঠনতন্ত্রে এমনটাই উল্লেখ আছে। কিন্তু গঠনতন্ত্র না মেনে সমিতিতে একাধিক শিল্পীকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিকে তদন্ত করে বর্তমান কমিটি। সেখানে প্রায় ২০০ জন শিল্পীর সদস্যপদে অনিয়মের সন্ধান পান বলেও জানান জায়েদ খান। এটাকে নির্বাচনে ইস্যু না করার কথা বলেন তিনি।

এদিকে তফসিল ঘোষণার পরই শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ কার্যকরী কমিটির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মকবুল হোসেন আরমান নামের এক সদস্য। সমিতির ২৪০ জন সদস্যের চাঁদার রশিদ না দেয়ার অভিযোগে তিনি ৮ জানুয়ারি রাতে এই জিডি করেন।

তবে জায়েদ খান জানান, একজন এসে ২৪০ জন সদস্যের রশিদ দাবি করেন। কিন্তু একজনকে এত ব্যক্তির রশিদ দেয়া অনৈতিক ও নিয়মের বাইরে। তাদের প্যানেলকে চাপে রাখার জন্য অন্য প্যানেল এই কাজটি করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

এবার প্যানেল পরিবর্তন করে নতুন প্যানেলে নির্বাচন করছেন অনেকেই। সে তালিকায় আছে ইমন ও নীরবের মতো তারকারা! ২০১৭-২০১৯ মেয়াদে জায়েদ-প্যানেলে ছিলেন নিরব। তবে এবার তিনি লড়ছেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলে।

এসব ছাপিয়ে প্রার্থীদের চাওয়া, সব ভুলে অবাধ একটি নির্বাচন। তাদের মতে, নির্বাচনে তর্ক-বিতর্ক থাকে! থাকে পক্ষ-বিপক্ষ!


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply