করোনা পরিস্থিতিতে বদলাচ্ছে জীবন-যাপন। এবার জার্মানির একটি স্কুলে শিক্ষার্থীর বদলে ক্লাস করছে রোবট। অসুস্থ থাকায় দীর্ঘদিন ক্লাসে যেতে পারছে না জোশুয়া নামের একটি শিশু। কিন্তু থেমে নেই পড়ালেখা। রোবটের মাধ্যমে বাসা থেকেই ক্লাসের সাথে লাইভে যুক্ত থাকছে সে। ভার্চুয়ালি আড্ডা দিচ্ছে বন্ধুদের সাথেও।
সাত বছর বয়সী জোশুয়া জটিল রোগে আক্রান্ত। গলার অপারেশনের কারণে দীর্ঘদিন থাকতে হচ্ছে বাড়িতে। তবে স্কুল কামাই দিতে নারাজ জার্মানির এই শিক্ষার্থী। তার বদলে স্কুলে পাঠানো হয়েছে রোবটকে। বসছে জোশুয়ার নির্ধারিত বেঞ্চেই। যন্ত্রের মাধ্যমে এখন বাসায় বসেই ক্লাস করছে সে। জোশুয়ার কিছু বলার প্রয়োজন হলে সংকেত দিচ্ছে রোবট।
জোশুয়া বলেন, আমি স্কুলে যেতে খুব ভালোবাসি। অসুস্থতার কারণে অনেকদিন যেতে পারিনি। কিন্তু রোবটটি এখন আমাকে দারুণ সাহায্য করছে।
জোশুয়ার মা সিমন মার্টিনানগেলি বলেন, আমার ছেলে ফুসফুসের জটিল রোগে আক্রান্ত। এ কারণে গলায় একটি টিউব পরাতে হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই তাকে স্কুলে পাঠাচ্ছি না। রোবটের মাধ্যমে বাসায় বসেই পড়ালেখা করছে সে।
শুধু পড়ালেখাই নয়, রোবটের সাহায্যে বন্ধুদের সাথে আড্ডাও দিতে পারছে জোশুয়া। পড়ালেখার প্রতি শিশুটির এমন আগ্রহে সহায়তা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষও।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উতে উইন্টারবার্গ বলেন, ক্লাসের সময় শিশুরা রোবটটির মাধ্যমে জোশুয়ার সঙ্গে কথা বলে, হাসাহাসি করে, এমনকি দুষ্টুমিও করে। এটি নিয়ে কারও কোনো আপত্তি নেই। কারণ এখানকার কোনো তথ্য বা কথা রেকর্ড করার সুযোগ নেই। সে শুধু লাইভের মাধ্যমে অংশ নিতে পারবে।
মূলত, মানুষের একাকিত্ব কাটাতে ২০১৫ সালে রোবটটির মডেল তৈরি করে নরওয়ে ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় জার্মানির স্কুলে চালু করা হয় এটি।
জেডআই/
Leave a reply