সাইবার অপরাধের একের পর এক ঘটনা রোজই বাড়ছে। আজকাল অনলাইন লেনদেনের পাশাপাশি এটিএম থেকে টাকা তোলাও নিরাপদ নয়। এটিএম নগদের সমস্যা মিটিয়েছে ঠিকই, তবে মানুষের অসুবিধাও বাড়িয়েছে। প্রতিদিনই এটিএম জালিয়াতির নতুন নতুন ঘটনা সামনে আসে।
একটু সতর্কতা আপনাকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে বাঁচাতে পারে। যে কোনও এটিএম থেকে টাকা তোলার আগে, আপনি যে মেশিন থেকে টাকা তুলছেন সেটি সুরক্ষিত কিনা দেখে নিন। এটিএম-এ সবচেয়ে বড় বিপদ কার্ড ক্লোনিং থেকে হতে পারে। জেনে নিন, কীভাবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে-
এটিএম মেশিনে কার্ডটি যে স্লটে ঢোকানো থাকে সেখান থেকে হ্যাকাররা যে কোনো গ্রাহকের তথ্য চুরি করতে পারে। তারা এটিএম মেশিনের কার্ড স্লটে এমন একটি ডিভাইস রাখে, যা আপনার কার্ডের সম্পূর্ণ তথ্য স্ক্যান করে। পরে, তারা ব্লুটুথ বা অন্য কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য চুরি করে।
আরও পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন, কেউ আপনার কল রেকর্ড করছে?
আপনার ডেবিট কার্ডের সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য, হ্যাকারের কাছে আপনার পিন নম্বর থাকতে হবে। হ্যাকাররা ক্যামেরা দিয়ে পিন নম্বর ট্র্যাক করতে পারে। এই ধরনের চুরি এড়াতে আপনি যখনই এটিএম-এ আপনার পিন নম্বর লিখবেন, অন্য হাত দিয়ে সেটি লুকিয়ে রাখুন। যাতে সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা যেতে না পারে।
আপনি যখন এটিএমে যাবেন তখন মেশিনের কার্ড স্লট সাবধানে পরীক্ষা করুন। আপনি যদি মনে করেন, এটিএম কার্ডের স্লটে কোনো কারসাজি করা হয়েছে বা স্লটটি ঢিলেঢালা বা অন্য কোনো ত্রুটি রয়েছে তবে সেটি ব্যবহার করবেন না।
কার্ড স্লটে কার্ড ঢোকানোর সময় সবুজ আলো চেক করে নেবেন। স্লটে সবুজ বাতি জ্বললে এটিএম নিরাপদ। কিন্তু লাল বা কোনো আলো না থাকলে সেই এটিএম ব্যবহার করবেন না। আপনার ছোট্ট ভুল বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আপনি যদি কখনও মনে করেন, হ্যাকারদের ফাঁদে পড়েছেন তা হলে দেরি না করে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশকে সমস্ত তথ্য জানান। আপনার আশেপাশে কারও ব্লুটুথ সংযোগ রয়েছে কি না তাও আপনি দেখতে পারেন, যাতে সেই ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো সহজ হয়৷
/এনএএস
Leave a reply