সিরাজগঞ্জ আদালতে এক আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগে ১০ দিন ধরে মামলার কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন আইনজীবীরা। এতে চরম ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা। অভিযোগ, এক স্টেনোগ্রাফারের অনৈতিক প্রস্তাব না রাখায় মারধর করা হয় একজন আইনজীবীকে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও করেছে দুপক্ষ।
জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি আইনজীবী আবুল কালামের চেম্বারে ঢুকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলী একটি মামলার বিষয়ে কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। কিন্তু আইনজীবী মামলাটি আর চালাবেন না বলে জানান। এতে ইউসুফ আলী আইনজীবীর সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে কয়েকজন সহযোগী নিয়ে মারধর করেন আইনজীবীকে। ভুক্তভোগী আইনজীবী মো. আবুল কালাম বলেন, আমার চেম্বারে কিছু অপরিচিত লোক নিয়ে এসে অনৈতিক দাবি করে, কিন্তু সে দাবি প্রত্যাখান করায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাকে আহত করে।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওই স্টেনোগ্রাফার। দাবি, আইনজীবীর মারধরে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন তিনি।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে বিপরীতমুখী বক্তব্যও আসছে আইনজীবী আর বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন পক্ষ থেকে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হালিম ফোনে বলেন, এজলাসে ঢুকে একজন আইনজীবীর ওপর অতর্কিত হামলা বিচার বিভাগের ওপর হামলার সামিল বলে আমাদের মনে হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুর রউফ পান্না বলেন. বিচার বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীর ঔদ্ধতপূর্ণ আচরণ দমনে জেলা জজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় যদি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বার এবং বেঞ্চের সাথে একটি উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করতেন তাহলে আজকের এই অবস্থার সৃষ্টি হতো না।
এদিকে, আইনজীবীরা মামলার কাজে অংশ না নেয়ায় বিচারপ্রার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। আদালতের এমন অচলাবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
/এসএইচ
Leave a reply