কুমিল্লা ব্যুরো:
নানান উপকরণের সঙ্গে ১০০টি নদীর পানি মিশিয়ে জীনের দ্বারা সকল সমস্যার সমাধান করে দেয় সে! আর সমাধানের নামে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। অবশেষে র্যাবের জালে ধরা পড়লো সেই কথিত জীনের বাদশা।
কথিত জীনের বাদশা জাকির হোসেনের বাড়ি বরিশাল জেলার বানারীপাড়ার সলিয়া বাকপুর গ্রামে। বাসের হেলপারী, বিআরটিএ অফিসে দালালী ও চোরাই মোবাইল ব্যবসা সবই করেছেন তিনি। অবশেষে হয়েছেন জীনের বাদশা!
নারায়নগঞ্জের একটি ভাড়া বাসায় বসে মানুষের যত সমস্যা রয়েছে সমাধান করে দেয় কথিত এই জীনের বাদশা! ভুতুরে পরিবেশ তৈরী করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাতো সে। অন্ধ বিশ্বাস থেকে তার কাছে আসা মানুষের কাছ থেকে ধাপে ধাপে হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা।
ইতোমধ্যে এক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৫০ লাখ টাকা। অন্য এক প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকেও হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকা।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর শাকতলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের উপপরিচালক মেজর সাকিব হোসেন জানান, এক ভুক্তভোগীকে আবারও ২০ লাখ টাকা দাবি করে এখন র্যাবের জালে কথিত সেই জীনের বাদশা।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কথিত জীনের বাদশা জাকির।
আরও পড়ুন- ছিন্নমূল শিশুদের সেবায় প্রচারবিমুখ কানাডিয়ান দম্পতি
এনবি/
Leave a reply