ভারতের কলকাতায় মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে গাড়ির মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন মূক ও বধির তরুণী। ঘটনাটি শহরটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও অভিযোগের পর পুলিশ বিলম্ব করেনি। অভিযুক্তকে তড়িঘড়ি আটক করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্তকে দ্রুত আটক করা সম্ভব হয়েছে ইশারা বিশেষজ্ঞ থাকার বদৌলতে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার পর নির্যাতিতা থানায় গেলেও প্রথমে তার বক্তব্য বুঝতেই পারেনি পুলিশ। অভিযোগ বুঝতে না পারলে তদন্ত করা হবে কী করে! এসব ক্ষেত্রে ডাক পড়ে ‘ইশারা ভাষা’ বিশেষজ্ঞদের।
প্রগতি ময়দান থানায় এ ব্যাপারে তরুণীর বক্তব্য বুঝতে ডাকা হয় রজনী নামের একজন ইশারা বিশেষজ্ঞকে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে নির্যাতিতার সাথে থেকে এবং কথা বলে ঘটনার খুঁটিনাটি বুঝে, নির্যাতিতার বক্তব্য পুলিশকে জানান রজনী।
আরও পড়ুন: বাইডেন পরিবারে এলো নতুন সদস্য
রজনী বলেন, ওই তরুণীর সাথে কথা বলতে সকালেই থানায় পৌঁছে যাই। একদফা কথা বলে তার অভিযোগের কথা পুলিশকে জানিয়ে আমার কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনার গুরুত্ব বুঝেই মনে হয় পুলিশ আমাকে আবার ডেকে নিয়ে আসে। পুলিশ কর্মকর্তারা এসে তরুণীর অভিযোগের খুঁটিনাটি বুঝে নেন। তিনি আরও বলেন, এর আগে আমি বেশ কিছু ধর্ষণের ঘটনায় দোভাষীর কাজ করেছি। তবে এই মামলার মতো এত দ্রুত পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে দেখিনি।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার জামিনের অর্থ সংগ্রহে খুন-ডাকাতি, বিষপ্রয়োগে প্রেমিকের মৃত্যু
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সায়েন্স সিটির কাছে আম্বেদকর সেতুর কাছে জোর করে ওই তরুণীকে ট্যাক্সিতে তুলে নেয়া হয়। সামনের আসনেই গায়ের জোরে বসিয়ে রাখা হয় তরুণীকে। গাড়িতেই ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন তরুণী। ওই রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ৪ নম্বর সেতুর কাছে নামিয়ে দেয়া হয় তরুণীকে।
সকালে ট্রেনে করে মগরাহাটে বাড়ি ফেরেন নির্যাতিতা তরুণী। মা অসুস্থ থাকায় বাড়ির কাউকে প্রথমে ঘটনার কথা বলতেও দ্বিধা করেন। পরে থানায় অভিযোগ জানান এবং শুক্রবার অভিযুক্ত কামরে আলম ওরফে রাজা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
/এনএএস
Leave a reply