প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২-এ সদয় সম্মতি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পবিার (২৭ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬ তম অধিবেশনে পাস হয় এ বিল।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ওইদিন বিলটি জাতীয় সংসদে তোলেন। বিলটির ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব দিয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও গণফোরামের ১০ সাংসদ। আর বিলের ওপর সংশোধনী দিয়ে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ১২ সাংসদ। সাধারণত ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের সাংসদদের বিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাব আনতে দেখা যায় না।
বেশ কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হলেও বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি। পরিবর্তনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, অনুসন্ধান কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী হবেন, এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অনুসন্ধান কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে। আগে তা ১০ দিন ছিল। আর বিলের শিরোনামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে এখন নাম হবে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’।
Leave a reply