অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণার কথা কিছুক্ষণের মধ্যেই হওয়ার কথা। আসামি ওসি প্রদীপকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতক প্রাঙ্গনে হাজির করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় তুলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আদালতের প্রক্রিয়া শেষ হলে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ রায় হবে। দীর্ঘদিন ধরে আদালত বন্ধ থাকার পরও মামলাটি অপেক্ষাকৃত দ্রুত শেষ হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে চার্জশিটভুক্ত ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে করোনা সংক্রমণের কারণে একবার তারিখ দিয়েও শুরু করা যায়নি চাঞ্চল্যকর মেজর সিনহা হত্যা মামলার বিচারকাজ। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানালেন, পরে একমাস পিছিয়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় এ কার্যক্রম।
মেজর সিনহার বোন বাদী শারমিন শাহরিয়ার প্রধান দুই অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। তবে আসামির আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত এখনও বলছেন, ফাঁসানো হয়েছে প্রদীপকে।
প্রথম দফায় তিন কার্যদিবসে আসামিদের ভূমিকা আদালতে তুলে ধরেন বাদীসহ চারজন সাক্ষী। এরপর ৮৩ সাক্ষীর ৬৫ জনের সাক্ষ্য, জেরা, দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে টানা সাড়ে চার মাসে বিচার কাজ শেষে মামলাটি রায়ের জন্য প্রস্তুত করেন আদালত।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। প্রথমে পুলিশ এই ঘটনায় মেজর সিনহার কয়েক সঙ্গীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে। পরে ৫ আগস্ট বাহার ছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ দাশকে দ্বিতীয় আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বোন। মামলায় তিন মাসের তদন্ত শেষে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত সংস্থা র্যাব।
/এডব্লিউ
Leave a reply