ফের শুরু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা

|

ছবি: সংগৃহীত

মাহফুজ মিশু:

নতুন করে আবারও শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা। মিয়ানমারে সামরিক শাসন জারির প্রায় এক বছর পর প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে দু’দেশের কারিগরি কমিটি। সেখানে আবারও রোহিঙ্গাদের ফেরাতে রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরির তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ। এটিকে ‘শুভ সূচনা’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, সব ঠিক থাকলে এ বছরই পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রত্যাবাসন শুরু সম্ভব।

নাটকীয় অভ্যুত্থানে অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে, ঠিক এক বছর আগে সামরিক শাসনে ফেরে মিয়ানমার। থমকে যায় গণতন্ত্রের পথে দেশটির যাত্রা।

মিয়ানমারে পটপরিবর্তনের পর থমকে যায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও। লম্বা বিরতির পর সম্প্রতি এ কাজে গঠিত কারিগরি কমিটি পুনর্গঠন করেছে ঢাকা ও নেইপিদো। এরই মধ্যে এক দফা ভার্চুয়াল বৈঠকও সেরেছেন তারা। আর এ সংলাপের নেপথ্যে ছিল চীন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মনে করেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। বাংলাদেশের দেয়া তালিকার সবার তথ্য পায়নি মিয়ানমার। অনেকের উল্লেখ করা গ্রামের অস্তিত্বই নেই রাখাইনে, ধূলিসাৎ করা হয়েছে সেসব এলাকা। তবে সদিচ্ছা থাকলে এসব সংকট কাটিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু সম্ভব বলে বিশ্বাস করে ঢাকা।

প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের প্রায় তের লাখ নাগরিকের অবস্থান এখন বাংলাদেশে। এতো মানুষের প্রত্যাবাসন যে ভয়াবহ কঠিন, সে বাস্তবতাও মানতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি চীনকে রেখে ত্রিপাক্ষিক উদ্যোগ নিয়েও গত চার বছরে একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো যায়নি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply