কক্সবাজারে সমুদ্রস্নানে প্রতি বছর গড়ে মারা যান ১২ পর্যটক

|

ছবি: সংগৃহীত

রাসেল আহমেদ:

কক্সবাজারে সমুদ্রস্নানে প্রতি বছর গড়ে মারা যান ১২ জন পর্যটক। তবুও নিজস্ব কোনো উদ্ধারকারী দল নেই বিচ কমিটির। সাগর স্রোতে কেউ আটকে গেলে ভাগ্যই মূল ভরসা। বেসরকারিভাবে দুটি প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও চাহিদার তুলনায় তা যথেষ্ট নয়।

প্রায় চারশ’ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারে সুমন দম্পত্তি। নোনা জলে পা ভেজানো ও দাপাদাপির জন্য মুখিয়ে আছেন ভ্রমণের শুরু থেকেই। চোখের সামনে সমুদ্রের বিশালতা দেখে উচ্ছ্বাস দমিয়ে রাখা দায়। যদিও সাতার না জানায় কিছুটা সংশয়ও আছে মনে।

সাগর জলে গোসলের স্মৃতি নিয়ে ফিরতে চান সবাই। কিন্তু ফেরা হয়ে ওঠে না কারো কারো। লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলি- চার কিলোমিটার এলাকা মূলত পর্যটকদের বিচরণ। গেলো দশ বছরে এই এলাকায় সাগরে ডুবে মারা গেছেন অন্তত ১২০ পর্যটক।

প্রতিবছর মৃত্যুর মিছিল তবু নেই সরকারি উদ্ধারকারী দল। নেই তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। সমাজসেবার অংশ হিসেবে বেসরকারি দু’টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে পর্যটকদের উদ্ধারে। হাসপাতাল দূরে থাকায় বেগ পেতে হয় তাদেরও।

অভিজ্ঞরা বলছেন, বালুবিচে সময়ে সময়ে শ্রোতের স্থান পরিবর্তন হয়। সেসব বিষয়ে পর্যটকদের সতর্ক করা বিচ কমিটির দায়িত্ব। দরকার নিরাপদ গোসলের স্থান। এদিকে নিরাপদ পরিবেশের পাশাপাশি পর্যটকদের সাগর সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply