ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আসরাফুল ও মোতিয়ার নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরঞ্জন দেব নাথ।
এর আগে, গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের হারাগাছ পাড়ায় নিজ বাসা থেকে নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে কৌশলে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ও অমানবিক নির্যাতন চালায় সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের সুজন, আশরাফুল, বিপ্লব ও আরিফসহ কয়েকজন যুবক।
পরেরদিন মঙ্গলবার (১ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। বুধবার ভুক্তভোগীর বাবা রুহিয়া থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বাড়ির আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ের চিহ্ন ও গাল বেয়ে রক্ত ঝরছে। ওই রাতেই ঢোলারহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক লিজা বিশ্বাসের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় ঢোলারহাট ইউপি সদস্য সুজন মাহমুদকে বিষয়টি অবগত করেন তিনি।
পরেরদিন মঙ্গলবার সকালে সুজন মাহমুদ ও মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তাদের সারাদিন বসিয়ে রাখে থানা পুলিশ। সন্ধ্যায় পুলিশের গাড়িতে ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি আরও জানান, ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে একটি মহল।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে পূর্ব পরিচিত সুজনের ফোন পেয়ে বাড়ির সকলের অগোচরে ঘর থেকে বেরিয়ে তার সাথে দেখা করতে গেলে ভুক্তভোগীকে কৌশলে মটরসাইকেল যোগে একটি মুরগীর খামারের ভেতরে নিয়ে যায় সুজন। সেখানে আগে থেকেই থাকা আশরাফুল, বিপ্লব, আরিফসহ আরও বেশ কয়েকজন তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পরে জ্ঞান ফিরলে নিজেকে বাড়ির পাশের রাস্তায় আবিস্কার করেন ভুক্তভোগী। সেখান থেকে কোনো রকমে বাড়িতে পৌঁছায় সে । এ ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানিইয়েছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায় এ ব্যাপারে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট করার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে ইতোমধ্যেই। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
/এসএইচ
Leave a reply