বন্ধ করা যায়নি অবৈধ হ্যান্ডসেট, কী প্রভাব বাজারে?

|

এনইআইআর কার্যক্রমে সরকারের পিছুটানের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে। আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এখন চাহিদার ৪০ শতাংশ হ্যান্ডসেট অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে, স্থানীয় হ্যান্ডসেট নির্মাতাদের বিনিয়োগ। রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণও ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।

হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি গত ১ জুলাই থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার বা এনইআইআর প্রযুক্তির কার্যক্রম চালু করে। বলা হয়েছিল, ৩০ জুনের আগে কেনা সব হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। এরপর অবৈধভাবে সংগ্রহ করা কোনো সেট নেটওয়ার্কে সচল হতে পারবে না।

এই ঘোষণার সুফলও আসতে থাকে। অনেকটা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে চোরাই হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। কিন্তু পরে এ ঘোষণা থেকে সরে আসে সরকার। তারা জানায়, বৈধ কিংবা অবৈধ, বন্ধ হবে না কোনো সেটই।

দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, সরকারের এই সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে মোট চাহিদার ৪০ শতাংশে বেশি হ্যান্ডসেটের বাজারই এখন চোরাকারবারিদের দখলে।

তবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, বিপুল পরিমাণ ব্যবহারকারীর ভোগান্তি এড়াতে অনেকটা বাধ্য হয়েই সেট বন্ধের ঘোষণা থেকে সরে এসেছে সরকার। চোরাই হ্যান্ডসেটে আমদানি ও বাজারজাত বন্ধ করার জন্য, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।

বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোট ১৪টি কোম্পানি হ্যান্ডসেট তৈরি করছে। চোরাই হ্যান্ডসেট কারবারিদের দৌরাত্ম্যে ঝুঁকিতে পড়েছে তাদের বিনিয়োগ। অন্যদিকে সরকারও হারাচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব।

বিটিআরসির তথ্যানুযায়ী, দেশে বর্তমানে বছরে সাড়ে তিন কোটি হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়। ব্যবহৃত হয় ১৪ কোটির বেশি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply