চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুন আক্তারের অভিযোগ আমলে নিয়েছে আপিল বোর্ড। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করার ঘোষণা দেন। একইসাথে নিপুনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
সোহানুর রহমান জানান, জায়েদ খান ও চুন্নু ছাড়া বাকি সকল পদের ফলাফল অপরিবর্তিত থাকবে। চুন্নুর স্থলে নাদির খানকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য ঘোষণা করা হলো।
তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন কারও অভিযোগ আমলে না নিয়ে একতরফাভাবে ফল ঘোষণা করেন। জায়েদ খানের কাছে অর্থ পাওয়ার বিষয়টি দু’জন ভোটার আমাদের জানিয়েছে। এছাড়া, কিছু ভিডিও ফুটেজে আমরা এর প্রমাণ পেয়েছি। যা গঠনতন্ত্রের ১০ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এজন্য তার প্রার্থিতা বাতিল করা হলো। আর ১৬৩ ভোট পাওয়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুন আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হলো।
এ সময় তার পাশে ছিলেন নিপুন আক্তার ও তার সমর্থকরা। তারা উল্লাস প্রকাশ করেন।
বৈঠক শুরুর কিছু আগেই নিপুনের বেশ কয়েকজন সমর্থক ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার চাই’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এছাড়া শরীরে ‘নিরপেক্ষ বিচার চাই’ লিখে এবং ‘গ্যাঞ্জামমুক্ত এফডিসি চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়েও এফডিসি প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন তারা।
এর আগে, শুক্রবার জায়েদ খান জানান, অবৈধ এই কমিটির ডাকা কোনো মিটিংয়ে তিনি অংশগ্রহণ করবেন না। কারণ, নির্বাচনী তফসিলে ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করে ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার কথা উল্লেখ আছে। সে হিসেবে আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার পর আপিল বোর্ডের কোনো এখতিয়ার নেই মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান আর মোহাম্মদ হোসেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয় ২৯ জানুয়ারি ভোরে। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন জায়েদ খান এবং পরাজিত হন নিপুণ। সাধারণ সম্পাদকের বাতিল ভোট যাচাই এবং পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন নিপুণ। যাচাই ও পুনর্গণনায় বহাল থাকে আগের ফলাফল এবং সেটা মেনেও নেন নিপুণ। তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে আপিল কারার সময় ছিল।
জায়েদ খানের দাবি, নিপুণ বাতিল ভোট যাচাই ও পুনর্গণনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপিল করেছিলেন, কিন্তু তার এবং চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আপিল তিনি সময়ের মধ্যে করেননি। জানা যায়, ২৯ জানুয়ারি রাতে শিল্পী সমিতির অফিস সহকারী জামানের কাছে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে জয়ী প্রার্থী সাইমন সাদিক একটি খাম দিয়ে যান। সেই খামে জায়েদ ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন ছিল। সময় পার হয়ে গেলেও আপিল বোর্ড আবেদনটি আমলে নেয়।
Leave a reply