ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করে ২২ বিলিয়ন ডলারের মালিক!

|

স্যাম ব্যাংকম্যান। ছবি: সংগৃহীত।

স্যাম ব্যাংকম্যান, ২৯ বছরের তরুণ। যার বর্তমান বসবাস বাহামা দ্বীপপুঞ্জে। থাকেন রুম শেয়ার করে, ১০ জন রুমমেটের সঙ্গে। অথচ এই স্যাম কিনা ২২ বিলিয়ন (যা প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা) ডলারের মালিক!

স্যাম ছোটবেলা থেকেই ধনী হওয়ার ইচ্ছাপোষণ করতেন। তবে, অন্য আট-দশজনের মতো নিজের জন্য টাকা আয় করতে চাইতেন না। উপার্জিত টাকা মানুষের কল্যাণে দান করার ইচ্ছে থেকেই ধনী হওয়ার আগ্রহ তার। ইতোমধ্যে ধনী হয়েছেন, তবে ইচ্ছেটা ঠিকই বদলায়নি। সাধারণ জীবনযাপন করেন। তার মতে, প্রয়োজন নয়, এমন কিছু করার মানে নেই। এর বদলে আর্থিক সহায়তা করে মানুষের জীবনযাত্রা পৃথিবীকে উন্নত করাই লক্ষ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) পাঠ চুকানোর পর সম্পদ অর্জনে মনযোগ দেন স্যাম। খুবই সাধারণ ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন, বিটকয়েন ট্রেডিং করা; বিফল হননি। আর তা স্যামকে ফুলটাইম ক্রিপ্টো ট্রেডারে পরিণত করেছেন। পাশাপাশি বনে যান বিলিয়নিয়ার।

স্যামের জন্ম ১৯৯২ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বাবা-মা দু’জনেই বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের অধ্যাপক। এমআইটি থেকে ২০১৪ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক পাশ করেছেন স্যাম।

যেভাবে বনে যান বিলিয়নিয়ার:
স্যাম একদিন লক্ষ্য করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১ বিটকয়েনের দাম ১০ হাজার ডলার। আর জাপানে তা ১১ হাজার ডলার। যেই দেখা, সেই শুরু। প্রতিদিনই বিটকয়েন কেনাবেচায় লেগে পড়েন স্যাম। আর তাতে স্যাম হয়ে উঠেন বিলিয়নিয়ার।

স্যাম প্রতিষ্ঠা করেন ‘এফটিএক্স’ নামের ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের একটি কোম্পানি। আর তা অল্প সময়ের মধ্যে বেশ বড় ও সফল একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আর এসব ঘটেছে স্যাম ৩০-এ না পৌঁছাতে।

আগেই বলা হয়েছে, স্যাম উপার্জিত অর্থ দান করতে চায়। ২০২১ সালে ৫০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন। বৈশ্বিক জলবায়ু, করোনা মহামারি ও বন্যপ্রাণী তহবিলে এসব অর্থ সহায়তা করেছেন। স্যামের এসব কর্মকাণ্ড তাকে উদার বিলিয়নিয়ারের পরিচিতি এনে দিয়েছে। তার পরিকল্পনা হচ্ছে, প্রতি বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা করা। আর পরবর্তী এক দশকে তা যেন ১০ বিলিয়ন ডলারে হয়।

আরও মজার বিষয় হলো, স্যাম এখনও টয়োটা ব্র্যান্ডের করোলা মডেলের একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন। আর তা পরিবর্তন করার কোনো আগ্রহও নেই তার।

সূত্র: নাস ডেইলি, ফরচুন।

এমএন/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply