অন্তত ৫ থেকে ৭টি চক্রে ভাগ হয়ে মানুষকে নিঃস্ব করেছে বাস ডাকাতরা। শুধু ডাকাতি নয়; এরা বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাইয়ের সাথেও জড়িত। সবশেষ এক চিকিৎসক ডাকাতির কবলে পড়ার ঘটনা তদন্তে নেমে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ওই ডাক্তারের মোবাইল ফোনও।
৫বছরেরও বেশি সময় ধরে সাগর জড়িত বাস ডাকাতির সাথে। ২০১৮ সালে ডাকাতির সময় এক যাত্রীকে খুনের দায়ে জেল খেটেছে ২ বছর। জামিনে বেরিয়ে আবারও জড়িয়েছে বাস ডাকাতিতে। সাগরের মতো আর ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। যারা গত ২০ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইলের সরকারি চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম ও তার বন্ধুসহ আরও ১০-১২ জনকে আরবি পরিবহন বাসে তুলে ডাকাতি করে।
এরমধ্যে জাকির নামে একজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ডা. শফিকের মোবাইল ফোন। ওই চিকিৎসকের বিকাশ থেকে যে টাকা আত্মসাত করা হয়েছে সেগুলোসহ অন্য ভুক্তভোগীদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। চক্রের কাছে পাওয়া গেছে মোট ২১টি ফোন। সবই ডাকাতির সময় বিভিন্নজনের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া।
পুলিশের তথ্য, চক্রটি সাধারণত বাস ভাড়া করে যাত্রীবেশে ডাকাতি করে। ডাকাতির সময় রাজধানীর ভেতরে বাস না নিয়ে আশপাশের এলাকা দিয়ে ঘুরতে থাকে। কাজ শেষ হলে ভুক্তভোগীদের ফেলে দেয় নির্জন জায়গায়। এলাকাভেদে ৫-৭টি চক্র এই অপকর্মে জড়িত বলে দাবি গোয়েন্দা পুলিশের।
পুলিশের দাবি, চক্রটি ডাকাতি করা টাকা ও ফোন গচ্ছিত রাখতো এক নারীর কাছে। কেউ আটক হলে জামিনের জন্য সহায়তা করতো ওই নারী। পুলিশের অভিযানে ওই নারী ভুক্তভোগী ডা. শফিকের স্মার্টফোনটি পুকুরে ফেলে দেয় বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
/এনএএস
Leave a reply