নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের পরিবার কমপক্ষে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার করে ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল।
বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ওয়ারসো কনভেনশন অনুযায়ী প্রতিটি নিহতদের পরিবার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার মার্কিন ডলার করে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
তিনি বলেন, শুধু নিহতরা না, আহতরাও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে এর জন্য কিছু আইনি প্রক্রিয়াও রয়েছে। ক্ষতিপূরণের এই অর্থ পেতে আইনি সহায়তার জন্য সিভিল এভিয়েশনের আইনজীবীদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
কামাল বলেন, মন্ট্রিল কনভেনশনে অনুসমর্থন নিয়ে আগামী সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ জানান, বিমান দুর্ঘটনায় আহত-নিহত সবার নাম-ঠিকানা তাদের কাছে আছে। ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীর প্রমাণপত্র দিতে হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে, যিনি প্রত্যেকটা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এ বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়েছে। কি কি তথ্য লাগবে তা পরিবারগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
আসিফ বলেন, আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ বিতরণ করাই এখন আমাদের প্রধান বিষয়। নিহত প্রত্যেক পরিবার ৫০ হাজার ডলারের কম পাবেন না।
এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুক ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চার ক্রুসহ ২৭ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
Leave a reply