কুমিল্লা ব্যুরো:
কুমিল্লার হোমনার আলোচিত স্বপন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান। দুই বছর জেলে থাকার পর জামিনে বের হয় সে। পরে নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান মো. রাকিব উল হাসান। এরপর কেটে যায় ১৮ বছর।
সেই আসামি হাবিবুর রহমান গত ২ বছর ধরে কাজ করছেন ঢাকা আগারগাওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের পিয়ন হিসেবে। নতুন নামে তৈরিও করেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে গতরাতে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী মো. আবদুর রহীম জানান, আমরা কুমিল্লা জেলার সকল ওয়্যারেন্টভুক্ত আসামিদের প্রোফাইল তৈরি করছি। সেই প্রোফাইলের তথ্য উপাত্ত ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও নিজস্ব সূত্রের ব্যবহার করে আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৮ মার্চ জেলার হোমনা উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের মুন্সিকান্দিগ্রামের হাসু মিয়ার ছেলে শ্রমিক স্বপন খুন হন। ওই ঘটনায় নিহত স্বপনের বাবা হাসু মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরদিন এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে দুই বছর জেলে থেকে জামিনে বেড় হয়ে পালিয়ে যায় সে। এর মধ্যে ২০০৬ সালের ১৫ মে পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ দাখিল করলে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১নং আদালত হাবিবুর রহমানসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এছাড়া ওই আদেশে ১ জনকে বেকসুর খালাস হিসেবে আদেশ দেয়া হয়।
Leave a reply