প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য নাম চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর অফিসের ঠিকানা ও ই-মেইলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সার্চ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে সাচিবিক সহায়তা প্রদানকারী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি পাঠিয়েছে।
এর পাশাপাশি দেশের বিশিষ্টজন, গণমাধ্যমকর্মী ও পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিদের কাছেও বৈঠকের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সার্চ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তালিকা করে তাদের চিঠি পাঠানোর কাজ সারতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র।
ইতোমধ্যে চিঠি পাঠানোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ঢাবির শিক্ষক আসিফ নজরুল, শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল প্রমুখ। সার্চ কমিটি আগামী শনি ও রোববার ব্যক্তিবর্গদের সঙ্গে একাধিক পৃথক বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে নাম চাওয়ার বিষয়ে জানায় সার্চ কমিটি। তারও আগে, ইসি গঠনের জন্য যোগ্য ও আগ্রহীদের কাছে নাম চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় সার্চ কমিটি। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরাসরি, ডাকযোগে বা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ই-মেইলে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসি গঠনের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ এর ধারা ৩ মোতাবেক আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। তাতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে রয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুমোদন দেয়া হয়। গত ২৭ জানুয়ারি বিলটি জাতীয় সংসদে পাসের পর ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সম্মতি দেন। ৩০ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২’ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
Leave a reply