নিলামে ইভ্যালির সাতটি গাড়ি ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে আদালত কর্তৃক গঠিত ইভ্যালির ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ড।
টানা ২ ঘণ্টা নিলাম শেষে ইভ্যালির রেঞ্জ রোভার গাড়িটি ১ কোটি ৮১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেন ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান। ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় টয়োটা প্রায়াস গাড়িটি কিনে নেন মোহাম্মদ রিপন ইসলাম তারা। টয়োটা সিএইচআর গাড়িটি ২৩ লক্ষ ৮০ টাকায় কেনেন প্রশান্ত ভৌমিক নামের এক ক্রেতা। দুটি টয়োটা এক্সিও গাড়ির একটি ১৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকায়, অন্যটি ১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১৭ লাখ ৬০ টাকায় হোন্ডা সেভেন কেনেন কানিজ ফাতেমা। ২০ লক্ষ টাকায় হায়েস মাইক্রোবাসটি কিনে নেন রিয়াজ উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়ির ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে দুপুরে আদালত কর্তৃক গঠিত ইভ্যালির বোর্ড সদস্যরা প্রতিষ্ঠানটির সাতটি গাড়ি নিলামে তোলেন।
ইভ্যালির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবীর মিলন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিলামের আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশনায় এসব গাড়ি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই নিলামের মাধ্যমে ইভ্যালির কাছে ক্রেতাদের পাওনা পরিশোধে দৃশ্যমান কার্যক্রম শুরু হলো। আরও কিছু গাড়ির সন্ধান মিলেছে যা রাসেল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে অন্যদের দিয়েছিল। এরকম চারজনকে গাড়ি জমা দিতে বলা হয়েছে। জমা না দিলে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে পুলিশি অভিযানে যাবে ইভ্যালি।
এর আগে, ৩১ জানুয়ারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ের দুটি লকার ভেঙে মাত্র ২ হাজার ৫৩০ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া দেড় শতাধিক বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।
Leave a reply