গোলাম মোস্তফা রুবেল, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ ও পাবনার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিটারজেন্ট পাউডার, সোডা, সয়াবিন তেল, লবণ, চিনি, স্যালাইন, নিম্নমানের গুড়া দুধসহ মারাত্মক সব কেমিকেল মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে নকল দুধ। বিষাক্ত এই নকল দুধের ক্রিম থেকে তৈরি হচ্ছে খাঁটি গাওয়া ঘি। এসব দুধের ছানা থেকে তৈরি হচ্ছে রসনা বিলাস বাহারী সব মিষ্টান্ন। আবার এই ভেজাল দুধ কৌশলে দেশের বিভিন্ন নামী দামী ব্রান্ডের কোম্পানির মাধ্যমে প্যাকেটজাত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে ভয়ংকর এই অপকর্ম করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
এই দুধ ও তার তৈরি মিষ্টি, ঘিসহ মিষ্টান্ন খেয়ে মারাত্মক সব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্য এই ভয়াবহ অবৈধ কর্মকাণ্ড চলে আসলেও অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য গা শিউরে ওঠার মত ভয়ংকর এমন কর্মকাণ্ড হচ্ছে দেশের দুগ্ধ ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া,শাহজাদপুর,পাবনার ফরিদপুর, ভাংগুড়া, সাথিয়া সহ বিভিন্ন উপজেলায়। যমুনা টেলিভিশনের এ প্রতিবেদক গত ৪ মাস ধরে এসব এলাকায় কারবারীদের সাথে কথা বলে অনুসন্ধান চালিয়ে এই ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রমাণ পান।
সরেজমিনে তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের গবাদিপশু সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, পাবনার ফরিদপুর, ডেমরা, ভাংগুড়া, সাথিয়া উপজেলায় এখন ভয়ংকর নকল দুধের রমরমা ব্যবসা চলছে। এই ভেজাল দুধ প্রক্রিয়াজাতকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কারখানা। এসব কারখানায় চলছে নকল দুধের নানা কারবার। এই ভেজাল দুধে নানা প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হচ্ছে ঘি, ছানা,প্যাকেটজাত দুধ। দেশের বাজারে দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এটি এখন শিল্পে পরিনত হয়েছে। গবাদিপশু পালন ও তা থেকে দুগ্ধ উৎপাদন করে বিক্রি করে অনেক খামারী এবং বেকার যুবক-যুবতি স্বাভলম্বি হলেও হঠাৎ করে ভেজাল দুধ উৎপাদনকারী একটি সিন্ডিকেটের কারণে মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে এই শিল্প। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাঁটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামারীদের এই সিন্ডিকেটের কারণে এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
দুগ্ধ শিল্পের নানা সমস্যার চিত্র খুঁজতে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে গা শিউরে উঠার মত এক ভয়ংকর ভেজাল দুধের কারবারের চিত্র। দুধ ব্যবসার সাথে জড়িত একাধিক ফড়িয়া ব্যবসায়ী এবং খামারীদের সাথে কথা বলে এবং সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকাশ্য দিবালোকে তৈরি হচ্ছে ভেজাল দুধ। ফড়িয়া দুধ ব্যবসায়ী এবং কতিপয় দুধ থেকে ঘি ক্রিম,ছানা, দই মিষ্টি উৎপাদনকারী কারখানার মালিক এসব অপকর্ম করছে।
তথ্যের সূত্র ধরে সরেজমিন যায় এই প্রতিবেদক উল্লাপাড়া উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কি.মি.দুরের গ্রাম কালিয়াকৈড়ে। এই গ্রামটি গবাদিপশু সমৃদ্ধ। পশু পালন এবং তা থেকে দুগ্ধ উৎপাদন করে গ্রামের সিংহভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এই খামারীদের কাছ থেকে দুগ্ধ সংগ্রহের জন্য কাজ করছে প্রায় ১৫/১৬ জন ফড়িয়া ব্যবসায়ী। এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভেজাল দুধ তৈরির অভিযোগ পাওয়ায় যায়। সেই তথ্যের সূত্র ধরে বুধবার সকালে কালিয়াকৈড় গ্রামে ভেজাল দুধ তৈরির প্রক্রিয়ার দেখা মেলে। তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না নিশ্চিত করে এক ফড়িয়ার বাড়িতে কাক ডাকা ভোরে হাজির হয় প্রতিবেদক। তিনি দেখালেন, ভেজাল দুধ তৈরীর পুরো প্রক্রিয়া। এই ফড়িয়া ব্যবসায়ী এমন ভেজাল দুধ তৈরীতে যা ব্যবহার করলেন তা দেখে চক্ষু ছানাবড়া। তিনি প্রথমে একটি বিলিন্ডার মেশিনে হাফ কেজি খাঁটি দুধ নিলেন। তার সাথে পরিমান মত ডিটারজেন্ট পাউডার, সোডা, হাফ কেজি সয়াবিন তেল, চিনি, স্যালাইন, লবণ, গুড়া দুধসহ বিভিন্ন মাত্রায় কেমিকেল মিশিয়ে ১৫ মিনিট বিলিন্ডার মেশিনে বিলিন্ডার করলেন। বিলিন্ডার মেশিনে দুধের সাথে সব কেমিকেল পদার্থগুলো ভালো ভাবে মেশানো হয়। এভাবে আরো ৩ দফায় তিনি এই কাজ করলেন। এরপর সব দুধ একটি পাতিলে ঢেলে তার সাথে ১ মণ সাদা পানি মিশিয়ে তৈরি করলেন ভেজাল দুধ। এভাবে এক মণ দুধ তৈরি করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ২শ’থেকে আড়াই শ’টাকা। আর তা বিক্রি করা হচ্ছে ১৬শ’টাকা।
যা তার উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রায় ৭ গুন বেশি লাভ। ৩ মণ ভালো দুধের সাথে ১ মণ ভেজাল দুধ মিশিয়ে পুরোটাই ভালো দুধ দেখিয়ে সে সরবরাহ করছে নামী-দামী বিভিন্ন দুধ ক্রয়কারী কোম্পানী, ঘি ক্রিম এবং ছানা তৈরি কারখানার কাছে। এভাবে তিনি প্রতিদিন প্রায় দুই মণ ভেজাল দুধ তৈরি করে ৬ মণ খাঁটি দুধের সাথে বিক্রি করেন।
এদিকে এই ফড়িয়া ব্যবসায়ী আরেকজন ভেজাল দুধ তৈরিকারক ফড়িয়া ব্যবসায়ীর বাড়িতে নিয়ে গেলেন। সেই বাড়িতে যেতেই বাহির থেকে বিলিন্ডার মেশিনের শব্দ পাওয়া গেল। অপরিচিত লোক দেখে তিনি ভয়ে ভড়কে গেলেন। সাথে থাকা ফড়িয়ার কথায় আশস্ত হয়ে তার ঘরে ঢুকে দেখা গেল তিনি দুটি বিলিন্ডার মেশিনের মাধ্যমে একই প্রক্রিয়ায় দুধ তৈরি করছেন।
এই দুই ব্যবসায়ী জানালেন, তাদের মত এ গ্রামের সব ফড়িয়া ব্যবসায়ীই একই কর্ম করে। তাদের পাশের গ্রাম সুজা, চাচকিয়াসহ সব গ্রামের দুধ ব্যবসায়ীরাই এ কাজ করছে। আর তা নাকি সবারই জানা। তাদের কাছ থেকে জানা গেলো, তারা গবাদিপশু পালকদের কাছ থেকে ৪০ টাকা দরে প্রতি লিটার দুধ কিনে আবার দুধের মিল কারখানায় একই দামে বিক্রি করেন। গ্রাম পর্যায় থেকে ৪০ টাকা দামে দুধ কিনে মিল কারখানায় একই দামে দুধ বিক্রি এবং তাতে ভেজাল দেয়ার কথা নাকি তারাও জানে। এই দুই ফড়িয়া ব্যবসায়ী জানালেন, তাদের গ্রামের ব্যবসায়ীরা এই দুধ উল্লাপাড়ার দুগ্ধ শীতলিকরন ক্রয় কেন্দ্র লাহিড়ীমোহনপুরের মিল্ক ভিটা,প্রাণ ডেইরী, ব্র্যাকের আরং ডেইরী,আকিজ ডেইরী সহ দুধের ক্রিম এবং ছানা তৈরীর কারখানায় বিক্রি করেন।
এই ব্যবসায়ীরা বলেন, দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রের কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে ভেজাল দুধের লাভের একটা অংশ হাতে ধরিয়ে দিলেই তারা অন্য খামারীদের ভাল দুধের সাথে এই দুধ মিশিয়ে দেয়। দুধের ঘণত্ব (ননির ফ্যাট) মেপে টাকা দেয়ায় অন্য খামারী এবং ব্যবসায়ীরা এই ভেজাল দুধের কারণে দুধের দাম কম পায়। কিন্তু ভেজালকারী এবং ক্রয় কেন্দ্রের কর্তা ব্যক্তিরা এই ভেজাল দুধ ভালো দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
অন্যদিকে এই জালিয়াতির কারণে ভালো দুধ দেয়া খামারী এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতে উচ্চ মূল্যে গো খাদ্য কিনে গবাদিপশুকে খাইয়ে দুধ উৎপাদন করে লাভবান হওয়ার পরির্বতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খামারীরা। দুধে ভেজাল দিয়ে তা নানা পন্থায় বিক্রি করে শূন্য থেকে রাতারাতি লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন ফড়িয়া দুগ্ধ সংগ্রাহকরা। এই দুধ ক্রয় বিক্রয় কে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক ফড়িয়া গ্রুপ গড়ে উঠেছে। আর তাদের আড়াল থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে একাধিক ক্ষমতাসীন ব্যক্তি। সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রচণ্ড শক্তিশালী। তারা টাকা পয়সা দিয়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহায়তা করছে। একাধিক ভেজাল দুধ তৈরি কারবারি এবং ঘি ছানা তৈরিকারী এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের পরিচয় গোপন করে ভয়ংকর সব তথ্য দেন ।
এদিকে এই ভেজাল দুধ যাচ্ছে ঘি ক্রিম ও ছানা তৈরী কারখানায়। এসব কারখানায় দুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের কথা সূত্র ধরে, মঙ্গলবার দুপুড়ে উল্লাপাড়ার লাহিড়ীমোহনপুর বাজারে ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর কারখানায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভেজাল দুধ কিনে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ছানা ও ঘি ক্রিম তৈরি করা হচ্ছে। কারখানাটির শ্রমিকরা বিড়ি টানছেন আর কাজ করছেন। দুধের ড্রাম ও ক্যানের উপর মশা মাছি বসে আছে। একাধিক দুধের ড্রামে নোংরা প্লাষ্টিকের বোতলে ঠাণ্ডা পানি ভরে দুধ ঠাণ্ডা করা হচ্ছে। কারখানাটির ভিতর একাধিক ফ্রিজে পলিথিনে এসব দুধ থেকে তৈরি ছানা এবং ঘি ক্রিম বোঝাই করে রাখা হয়েছে। প্রকাশ্য দুধের সাথে এই কারখানায় চিনি এবং গুড়াদুধ মিশিয়ে ছানা এবং ঘি ক্রিম তৈরি করা হচ্ছে। কারখানা ঘেষে টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে।
এই কারখানার মালিক বেলকুচি উপজেলার মো.ইসমাইল হোসেন তার কারখানা নিয়ে কোন প্রতিবেদন না করতে নানা ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন এবং কয়েকজন প্রভাবশালীকে দিয়ে ফোন করে চাপ প্রয়োগ করেন প্রতিবেদককে।
এদিকে তার মতো লাহিড়ীমোহনপুর বাল্লপাড়া গ্রামে রাতে ঘি এবং ছানা তৈরী করছেন সমিরন ঘোষ, মোহনপুর বাজারের রঞ্জন ঘোষ। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রঞ্জন ঘোষ ঘি ক্রিম কিনে এনে ঘি তৈরি করে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বাজারজাত করছে। এর আগে তার ঘি কারখানায় র্যাব ১২ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে স্ক্যান্ডেল ওয়েলসহ ক্ষতিকারক পদার্থ দিয়ে ঘি তৈরির অপরাধে তাকে জরিমানা ও ভেজাল ঘি ড্রেনে ফেলে দেয়। সে আবারও একই কর্ম করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এই রঞ্জন ঘোষ ক্ষমতাসীন দলের কর্মী বলে প্রভাব বিস্তার করে এমন কাজ করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উল্লাপাড়া,শাহজাদপুরের পোরজোনা,কায়েকপুর,বাঘাবাড়ি চরা চিথুলিয়া,বেড়ার আমাইকোলা,সাথিয়ার সেলন্দা,ফরিদপুরের ডেমরা,পার গোপালপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় অংখ্যা কারখানা গড়ে তুলে সেখানে এই ভেজাল দুধ দিয়ে ঘি ক্রিম এবং ছানা তৈরি করা হচ্ছে। একই সাথে এই দুধ বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানীর কাছে তাদের ম্যানেজ করে বিক্রি করা হচ্ছে। তারা এসব দুধ কিনে প্যাকেটজাত করে দেশের বাজারে বিক্রি করছে। সাধারণ মানুষ ভালো দুধ মনে করে তা কিনে খাচ্ছে।
উল্লাপাড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ভেজাল দুধ,ছানা,ঘি ক্রিম তৈরি করে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন নিজস্ব বাস, ট্রাক ট্রেনযোগে উত্তরাঞ্চলসহ ঢাকার একাধিক অভিজাত হোটেল রেস্তোরা এবং ঘোষবাড়ীতে বিক্রি করছে। নামকরা অভিজাত হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে তৃপ্তির সাথে যে দই মিষ্টান্ন সবাই খাচ্ছে তা বিষে ভরা। ভালো জিনিসের নামে অভিজাত মানুষেরা নিজের অজান্তেই দীর্ঘদিন ধরে এসব খেয়ে যাচ্ছে। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বলে প্রচার করলেও এসব অভিজাত হোটেল রেস্তোরায় ভেজাল দুধের ছানা কিনেই তা তৈরি করছে। উল্লাপাড়ার কয়ড়া, মোহনপুর এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী এ ব্যবসা করে শূন্য থেকে কোটি কোটি টাকা এবং আলিশান বাড়ি গাড়ির মালিক বনে গেছেন। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে গবাদিপশুর মালিকরা পথে যাচ্ছে। আর সুনাম হারাচ্ছে এ জনপদের প্রসিদ্ধ দুগ্ধ সম্পদ।
একাধিক খামারী এবং পশু মালিক দ্রুত এসব ভেজাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এমন দুধের বিষয়ে জানান, কেমিকেল মেশানো এই দুধ ও তার তৈরী মিষ্টান্ন খেয়ে সাধারণ মানুষ মারাত্মক সব রোগে ভুগছেন। তারা সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে দ্রুত এই ভেজাল দুধের কারবার বন্ধের কথা জানান।
ভেজাল দুধ নেয়ার বিষয়ে বুধবার সকালে মিল্ক ভিটার লাহিড়ীমোহনপুর কেন্দ্রের ম্যানেজার মো: শরিফ উদ্দিন জানান, মিল্ক ভিটায় কোন ভেজাল ও নিম্নমানের দুধ নেয়া হয়না। তাছাড়া এখানে কেউ সিন্ডিকেট করে নিম্নমানের দুধ দেয়ার সুযোগ নেই। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে এখানে দুধ নেয়া হয়।
এদিকে আকিজ ফুড এন্ড ভেভারেজ (এফবিএএল) লিঃ মোহনপুর শাখার ম্যানেজার মো.আব্দুল কাদের জানান, তারা প্রতিদিন এই শাখায় ৩২শ’লিটার দুধ নিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, এখানে পরীক্ষার মাধ্যমে দুধ নেয়া হয় বলে কোন ভেজাল দুধ নেয়ার সুযোগ নেই।
ভয়ংকর এই ভেজাল দুধ ব্যবসা প্রসঙ্গে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আরিফুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এই চক্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামা হবে। এদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। আর কাউকে এই কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না।
Leave a reply