সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে, এমন দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। বর্তমান কমিশনের শেষ কার্যদিবসে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন সিইসি। কমিশন রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছে। তবে এখন তারা যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, তাদের বক্তব্যে মনে হয় তাদের সন্তুষ্ট করতে পারিনি। কোনো কোনো দলের আস্থা অর্জন করতে পারিনি। তারা নির্বাচনে যাবেন না বলছেন। তারা কেন এমন করছে জানি না। আমাদের ওপর রাগ করলে তো হবে না। সবাইকে খুশি করে নির্বাচন করতে পেরেছি বলা যাবে না।
শেষ কার্যদিবসে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ৬৬৯০টি নির্বাচন হয়েছে বর্তমান কমিশনের অধীনে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই কমিশন দায়িত্ব পালন করেছে বলে উল্লেখ করেন নুরুল হুদা। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করেছেন তারা। তবে সময়ের কারণে চাইলেও আরও অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি।
কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, কমিশনের আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই, নেই অসীম ক্ষমতাও। কমিশন যে শপথ নিয়েছিল, তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।
প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, শতভাগ সফল কেউ হতে পারে না, আমরাও পারিনি। আইনের আলোকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্বাচন করেছি। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ করেছি। গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, কে এম নুরুল হুদাকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন অনুমোদন করেন। কমিশনে মাহবুব তালকুদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পাঁচ বছরের দায়িত্বে তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply