চট্টগ্রামে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাল্টে গেছে করোনা সংক্রমণের চিত্র। শনাক্তের হার ৪০ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৭ শতাংশের নিচে। মৃত্যুহারও অনেক কম। তৃতীয় ঢেউ শুরুর পর বন্দরনগরীতে ওমিক্রনের বিস্তৃতি নিয়ে জনমনে শঙ্কা থাকলেও এখন অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে চিকিৎসকরাও কিছুটা নির্ভার।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রামে ওমিক্রনের ধাক্কা শুরু আর জানুয়ায়ির শেষের দিকে সংক্রমণ গিয়ে ঠেকে চূড়ায়। ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় সংক্রমণের হার। তবে চলতি ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে চিত্র ভিন্ন। আক্রান্তের হার নেমে এসেছে ৭ শতাংশে। হাসপাতালে রোগী ভর্তিও তুলনামূলক কম বলে জানালেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব।
করোনার ৩য় ঢেউ শুরুর পর চট্টগ্রামে বাড়ানো হয় টিকার পরিধি। দিনে অন্তত ২০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি মনে করছেন, টিকা দেয়ার পরিধি বিস্তৃত হওয়ার ফলেই কমেছে মৃত্যু।
যদিও গত এক মাস ধরে আইসিইউতে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। তবে করোনা নয়, এদের বেশিরভাগই অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত বলছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ইনচার্জ ডা. রাজদীপ।
চট্টগ্রামে জানুয়ারি মাসে করোনায় ১৭ হাজার ৮১ জন আক্রান্ত এবং ২৩ জন মারা যান। বিপরীতে চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ১২ দিনে আক্রান্ত প্রায় ৫ হাজার ২০০ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
/এডব্লিউ
Leave a reply