পরিবারের সম্মান রক্ষায় পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা কান্দিল বালুচকে হত্যা করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তার ভাইকে। গ্রেপ্তারের পর ভাই মোহাম্মদ ওয়াসিম হত্যার দায় স্বীকারও করেন। তবে বোনকে অনার কিলিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত ভাইকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান আদালত। খবর আলজাজিরার।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের আপিল আদালত কান্দিল বালুচের ভাই মোহাম্মদ ওয়াসিমকে মুক্তির এ আদেশ দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রায়ের আগে ওয়াসিম ও কান্দিল বালুচের মা আদালতে একটি বিবৃতিও জমা দিয়েছিলেন যে তিনি তার ছেলেকে ক্ষমা করেছেন। তবে আদালত থেকে এখনও আদেশ প্রকাশ করা হয়নি। সেজন্যে আদালত তার মায়ের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২০১৬ সালে পুলিশের একটি মিডিয়া কনফারেন্সে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হয় মোহাম্মদ ওয়াসিমকে। সেখানে তিনি স্বীকার করেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যকলাপ চালানোর জন্য তিনি তার ২৬ বছর বয়সী বোন কান্দিল বালুচকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ সময় হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজন আলেম মুফতি আবদুল কাভিকেও গ্রেফতার করা হয়। যদিও পরে তার সঙ্গে এই খুনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি দেখে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
কান্দিল বালুচের প্রকৃত নাম ফৌজিয়া আজিম। তিনি মডেলিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কর্মকাণ্ডে পরিবারের সম্মান হারাচ্ছে- এই অভিযোগ এনেই তার ভাই মোহাম্মদ ওয়াসিম তাকে হত্যা করে। ২০১৬ সালের এই ঘটনাটি সে সময় পুরো পাকিস্তানে আলোড়ন তোলে। সে সময় ‘অনার কিলিং সংক্রান্ত আইন’ সংশোধনেও বাধ্য হয় পাকিস্তানের সরকার।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ সোনম কাপুরের স্বামীর বিরুদ্ধে
ইউএইচ/
Leave a reply