মাদক ও মানবপাচার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মাফিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো পানামা সরকার। দুর্গম অঞ্চলে অভিযানের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চালানো হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। একই সাথে বৃক্ষ নিধন এবং পরিবেশ দূষণ রোধেও কাজ করছে এই বিশেষ বাহিনী।
মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে মাদক সম্রাটদের অন্যতম স্বর্গরাজ্য কলম্বিয়া-পানামা সীমান্ত। দুর্গম এই অঞ্চল দিয়ে বছরে পাচার হয়ে থাকে হাজার হাজার কোটি ডলারের মাদক। শুধু মাদকই নয়, মানবপাচারের অন্যতম নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হয় এই পানামা সীমান্ত। এবার এসব মাদক, অস্ত্র এবং মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে পানামা সরকার।
গেলো বছর ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ১২৬ টন মাদক জব্দ করে পানামা সরকার। যার বড় অংশই কোকেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে দেশটির প্রশাসন। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে বসানো হয় নিরাপত্তা ক্যাম্প। আকাশ পথেও চলছে টহল।
পানামা নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী জুয়ান পিনো বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো অবৈধ মাদক এবং মানব পাচার ঠেকানো। এজন্য সীমান্ত এলাকার প্রতিটি অঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। পাশাপাশি, নদী দূষণ ও বৃদ্ধ নিধন রোধেও বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে সেনারা।
পাচারের হওয়া বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সুরক্ষায়ও কাজ করছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অবৈধ অনুপ্রবেশের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় তারা। পানামার অভিবাসন বিষয়ক অধিদফতরের পরিচালক সামরিরা গজাইনি বলেন, অভিবাসীদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে গেলো বছর সাড়ে ৪ কোটি ডলার ব্যায় করেছে সরকার। তাদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পানামায় মাদক চোরাচালানিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ ডলারের সমপরিমান অর্থ, মাদক চোরাচালানে যুক্ত থাকার দায়ে আটক করা হয় অন্তত ৭০০ জনকে।
/এসএইচ
Leave a reply