ওমিক্রনের প্রভাবে বিপর্যস্ত হংকং, ভর্তি হাসপাতালের ৯৫ ভাগ বেড

|

ছবি: সংগৃহীত

করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে হংকং। গেল দুই বছর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। তীব্র সংকটে পড়েছে সেখানকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা। ওমিক্রন আক্রান্তের দ্বারা দেশটির হাসপাতালের ৯৫ ভাগ বেড ভরে গেছে। সেই সাথে, দেখা দিয়েছে চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আবারও কঠোর বিধিমালা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

‘জিরো কোভিড’ নীতি বাস্তবায়নে দীর্ঘ দু’বছর নিয়ন্ত্রণে ছিল হংকংয়ের করোনা পরিস্থিতি। তবে দেশটির প্রশাসন শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠলো না ওমিক্রনের সাথে। সম্প্রত আশঙ্কাজনক হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকে সংক্রমণ। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ছয় হাজার মানুষের শরীরে শনাক্ত হয় ভাইরাসের উপস্থিতি, যেখানে দুই বছর মিলিয়ে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৪৭ হাজার। আল জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারের কাছে পর্যাপ্ত মেডিকেল সরঞ্জাম নেই। এই পরিস্থিতিতে, দৈনিক গণ টেস্ট করানো হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।

ছবি: সংগৃহীত

করোনার প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হংকংয়ের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। কিট সংকটে সবাই পারছে না নমুনা পরীক্ষা করাতে। ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে জরুরি সেবাদান কার্যক্রমও। এ ছাড়া, করোনা বিধিনিষেধ ঢিলেঢালা করার অভিযোগও রয়েছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সব কিছু মিলিয়ে জনমনে ছড়িয়েছে অসন্তোষ। হংকংয়ের এক বাসিন্দা বলেন, করোনা প্রতিরোধে হংকং প্রশাসনের পদক্ষেপে আমি হতাশ। চীনের মূল ভূখণ্ডের মতো নীতি আমরা গ্রহণ করতে পারিনি। আর টেস্ট করানোর জন্য এক দুইদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ যা করছে তা অর্থহীন।

ছবি: সংগৃহীত

এমন পরিস্থিতিতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অঞ্চলটিতে সহায়তা দিচ্ছে চীন সরকার, পাঠিয়েছে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও মেডিকেল টিম। সংক্রমণের হার কমাতে আবারও করোনার কঠোর বিধিমালা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেই সাথে পেছানো হয়েছে আসন্ন নির্বাচন। হংকংয়ের চিফ এক্সিকিউটিভ ক্যারি লাম বলেন, আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। অতি দ্রুত কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা চালু করা হবে। হংকং সংকটময় পরিস্থিতিতে আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গেল দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি আমরা। এখন বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভুল করার কোনো সুযোগ নেই।

হংকংয়ের স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, এরইমধ্যে হাসপাতালের ৯৫ ভাগ বেডই করোনা রোগীতে পূর্ণ। ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলো।

আরও পড়ুন: ইউনিস ঝড়ে বিধ্বস্ত ইউরোপের সাত দেশ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply