ভারত মহাসাগরকেন্দ্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বহুপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরির তাগিদ

|

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতার পাশাপাশি ভারত মহাসাগরকেন্দ্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বহুপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরির তাগিদ উঠে এসেছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের দশম রাউন্ডে। ভারতে সদ্য সমাপ্ত এই সংলাপে আলোচনায় এসেছে, বিমসটেক এর কলেবর বৃদ্ধি করা গেলে সম্মিলিতভাবে এই সংস্থা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনৈতিক কেন্দ্র হতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবও মনে করেন, এমন উদ্যোগ এই অঞ্চলের সংহতিকে দৃঢ় করবে। দশম বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের মূল আয়োজন ছিলো সিমলায়।

আনুষ্ঠানিক আলোচনায় দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উঠে আসে। ভারত মহাসাগরকেন্দ্রিক আঞ্চলিক সংহতি বৃদ্ধির গুরুত্বও তুলে ধরা হয় সেখানে।

সিমলা থেকে নয়াদিল্লি। সেখানে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। আলোচনায় উঠে আসে, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশকে যুক্ত করে বিমসটেকের কলেবর বৃদ্ধির প্রস্তাব।

বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক তারিক এ. করিম বলেন, বিমসটেক নিয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে সমসাময়িক বিশ্বে একটি নতুন শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটের দেখা মিলতে পারে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও কথা বলেন বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিকের এই প্রস্তাব নিয়ে। হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, আমি মনে করি এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি আমরা অন্যদের কীভাবে যুক্ত করতে পারি, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিমসটেক একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি জানান, এরইমধ্যে কলম্বো নিরাপত্তা সংলাপে বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডকে নিয়ে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে বিসটেক। পরবর্তীতে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান যুক্ত হলে নাম বদলে হয় বিমসটেক, যার সদর দফতর ঢাকায়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply