পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হবে যারা

|

ছবি: সংগৃহীত।

ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর দায়ে দফায় দফায় রাশিয়ার ওপর অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ মিত্র দেশগুলো। এরইমধ্যে মস্কোতে বিনিয়োগ, এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধ করে দিয়েছে অনেক ধনকুবের। তাদের বক্তব্য, সুইফটের প্রভাবে অর্থনৈতিকভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়বে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।

বিল ব্রাউডার নামে আমেরিকান বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে অন্ধকার যুগে চলে গেছে রাশিয়া। কারণ মস্কোর সাথে ইউরোপের যতগুলো ধনকুবের ব্যবসা করতো তারা এখন বিনিয়োগ বন্ধ করে দেবে। এরইমধ্যে অনেকে কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে। মূলত সবাই ইউরোপের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

তবে সুইফট থেকে রুশ ব্যাংকগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার প্রভাব শুধু রাশিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। ক্ষতির মুখে পড়বে ইউরোপের দেশগুলোও। শঙ্কা করা হচ্ছে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়বে রাশিয়া থেকে তেল বা গ্যাস ক্রেতা দেশগুলো। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান তেল ও জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া।

ভিকি প্রাইসি নামে গ্রিসের এক অর্থনীতি বিশ্লেষক বলেন, নিশ্চিতভাবেই রাশিয়ার থেকে গ্যাস এবং জ্বালানি আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে ইউরোপের। সবচেয়ে বেশি সংকট তৈরি হবে তেলের ক্ষেত্রে। কয়েক দিনের ভেতরই অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাবে জ্বালানি তেলের দাম। চরম মূল্যস্ফীতি দেখা দেবে এটা বলাই যায়।

আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা স্কট পেরি বলেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার আকার শুধু সীমিতই নয়, অনেক দেরিও হয়ে গেছে। কেন চূড়ান্ত অভিযানের জন্য অপেক্ষা করতে হলো বুঝতে পারছি না। এক কথায় বলবো পশ্চিমারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ইউক্রনের সাথে।

তবে অনেকে মনে করছেন, সমঝোতার সুযোগ হিসেবে বেছে বেছে অল্প কিছু ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যাতে ইউরোপের ওপর প্রভাব কম পড়ে, সেটাও নিশ্চিত করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তাদের মিত্ররা। তাই এই অবরোধ কতটা কাজে দিবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply