চট্টগ্রাম মেডিকেলে কেন নেই স্থায়ী কোনো ডোম?

|

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ডোমের কোনো পদই নেই। একজন মাত্র অস্থায়ী কর্মচারীর মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে মরদেহ কাটার কাজ। তিনি বেঁকে বসলেই মর্গে তৈরি হয় অচলাবস্থা। পদ না থাকায় নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না স্থায়ী ডোম।

অস্থায়ী এবং একমাত্র ওই ডোম একদিন কাজে যোগ না দিলে কী হতে পারে, গত রোববারের সৃষ্ট পরিস্থিতিই তার বড় প্রমাণ। বন্ধ হয়ে যায় ময়নাতদন্ত, জমে যায় মরদেহের স্তুপ।

২০০৬ সাল পর্যন্ত মরদেহ কাটতেন নেপাল দাশ। তার মৃত্যুর পর গত ১৬ বছর ধরে এ কাজ করছেন তারই শিষ্য কদম আলী। তিনিও নিয়োগপ্রাপ্ত নন অর্থাৎ অস্থায়ী কর্মচারী। সবেধন নীলমনি কদম আলী ডোমের মাসিক মজুরি মাত্র সাড়ে ৩ হাজার টাকা। বছরের পর বছরেও মজুরি না বাড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গত রোববার ও সোমবার দুদিন কাজে যোগ দেননি তিনি। বিকল্প হিসেবে ফরেনসিক ও প্যাথলজি বিভাগের দুই কর্মীকে দায়িত্ব দিলেও তারা মরদেহ কাটায় অদক্ষ বলে সংকট থেকেই যায়।

দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে জনবল নিয়োগ বন্ধ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজেরে অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার জানালেন, সরকারিভাবে মেডিকেল কলেজিটিতে সৃষ্টি হয়নি ডোমের পদ। একজন মাত্র অস্থায়ী কর্মচারীকে সামান্য মজুরি দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে চলছে মরদেহ কাটা ও ময়নাতদন্ত কার্যক্রম।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply