শাহজালালে আতঙ্ক আর যন্ত্রণার নাম ‘মশা’, নিরাপত্তাকর্মীরা ব্যবহার করছেন বিশেষ পদ্ধতির নেট

|

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আতঙ্ক আর যন্ত্রণার এক নাম ‘মশা’। দরজা খোলার সাথে সাথে দল বেধে ঢুকে যাচ্ছে বিমানের ভেতরে। যাত্রীর পাশাপাশি কর্মরত সবাই অতিষ্ঠ মশার অত্যাচারে। দেশি-বিদেশি ওষুধে কাজ হচ্ছে না; সনাতনী ধূপ ব্যবহার করেও মশা দমন করা যাচ্ছে না। দেশের সবচেয়ে বড় এ বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষও যেন এক রকম হার মেনে নিয়েছে।

সম্প্রতি বিমানবন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর যশোর থেকে ঢাকায় আসেন এক নবদম্পতি। বিয়ের আসর থেকে সোজা চলে আসেন ঢাকায়। তারা জানালেন, অন্য অনেকের মতো তাদের নতুন রোমাঞ্চকর এ যাত্রায় অন্যতম বিরক্তিকর অনুভূতি ছিল মশা। আরও অনেকেই জানিয়েছেন মশার যন্ত্রনার কথা। সন্ধ্যার আগে ওষুধ স্প্রে আর ধূপ জ্বালানোর পর তীব্রতা কিছুটা কমলেও সময় যত যায়, ততই বাড়ে মশার আক্রমণ।

বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে যারা সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের ভোগান্তি আরও বেশি। দেখা গেছে, কিছুটা রেহাই পেতে বিকল্প উপায় বেছে নিয়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। বিভিন্ন চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা এসব কর্মীরা মাথা থেকে মুখ পর্যন্ত বিশেষ পদ্ধতির নেট ব্যবহার করছেন।

এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক জানালেন, অতিষ্ঠ হয়ে না পেরে নিরাপত্তাকর্মীদের অডোমস দেয়া হতো। তাতেও কাজ হচ্ছে না। তাই বিশেষ কায়দায় মশারির মতো নেট ব্যবহার করছেন তারা।

আধুনিক পদ্ধতিতে দেশি-বিদেশি ওষুধ ব্যবহার করেও মশা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এককভাবে দমন করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তারা।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল-আহসান জানান, সিটি করপোরেশন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যৌথ উদ্যেগে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা চিহ্নিত করেছে। এসব এলাকায় মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা গেলে উৎপাত আরও কমবে। অন্যদিকে, ভুক্তভোগীরা জানালেন মশার লার্ভা ধ্বংসে যৌথ অভিযান চালানোর কোনো বিকল্প নেই।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply