ঝালকাঠিতে ৭ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ জব্দ

|

ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বাঘরি মাছ বাজারে নিষিদ্ধ শাপলাপাতা মাছ বিক্রয়কালে মাইনুদ্দিন নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকাল ৮টায় অভিযান চালিয়ে সারে ৭ মণ ওজনের পদ্মমণি বা প্রজাপতি জাতের শাপলাপাতা মাছটি জব্দ করে স্থানীয় বিভিন্ন মাদরাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে ওই মাছ ব্যবসায়ীর দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মাছ ব্যবসায়ী মাইনুদ্দিন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ইউএনও মোক্তার হোসেন জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী বিলুপ্ত প্রায় এ মাছ শিকার ও বাজারজাত করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই মাছটি জব্দ করে ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

‘অ্যানিমেল লাভার্স অফ ঝালকাঠি’ নামক সংগঠনের সদস্যদের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করার সময় রাজাপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বন কর্মকর্তা বলেন, বিপন্ন প্রজাতির রেয়ার ফিস ধরা, ক্রয়-বিক্রয় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-১২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইন ভঙ্গকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি ১ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

‘অ্যানিমেল লাভার্স অফ ঝালকাঠি’ গ্রুপের এডমিন তুহিন তাওহীদ বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ.এস.এম জহির উদ্দিন আকন এবং বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিকের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা বন্যপ্রাণী রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। পাশাপাশি তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে থাকি। এরই অংশ হিসেবে রাজাপুরে বিপন্ন প্রজাতির বিশালাকৃতির শাপলাপাতা মাছটি জব্দ করা এবং ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড দেয়া সম্ভব হয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply