ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুর ঘাটে রাস্তায় বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ওই বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে।
শনিবার (৫ মার্চ) ভরতের দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুর ঘাটের বটতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। ৭৮ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার নাম সুভদ্রা রায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে মা সুভদ্রার উপর অত্যাচার চালাত ছেলে গোপাল রায় ও তার স্ত্রী শিল্পী রায়। প্রতিবেশীরা একাধিক বার তাদের এ বিষয়ে সতর্ক করেছিল।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাতে মা’কে পুড়িয়ে মারে গোপাল ও স্ত্রী শিল্পী। তারপর ওই দগ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে রেখে আসে তারা। সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়।
রাস্তায় বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার তার ছেলে ও পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, মায়ের ভরণ-পোষণ না করতে এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।
মামনি দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আগুনে পোড়া দেহ রাস্তায় পাওয়া গিয়েছে, সকালে এই খবর শুনে শিউরে উঠেছিলাম। আমরা ছুটে এসে দেখি, গোপাল আর তার বউ পালানোর চেষ্টা করছে। আমরাই ওদের হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।
প্রতিবেশী বাবলু বিশ্বাস বলেন, কয়েক দিন আগে পৌর নির্বাচনে প্রচার চলাকালীন গোপালদের বাড়ি থেকে প্রবল চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাই। আমরা ছুটে এসে দেখি, মা’কে ঘরে থাকতে দেবে না বলে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে গোপাল আর তার বউ। এক টোটো চালক বৃদ্ধাকে পাশের পাড়ায় তার মেয়ের বাড়ি রেখে আসেন। পরে শুনেছি, মেয়েও মা কে তার বাড়িতে রাখতে না চাওয়ায় আবার বাড়ি ফিরে এসেছিলেন বৃদ্ধা। তার পরেই এই ঘটনা ঘটল।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপাল ও শিল্পীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের ধারণা, ছেলের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মা। তাই তাকে খুন করেছেন ছেলে ও তার বউ। মৃত ওই বৃদ্ধার আরও এক ছেলে শঙ্কর রায়কে খবর দিয়েছে পুলিশ। তিনি শিলিগুড়িতে থাকেন।
আরও পড়ুন- টাকা নিয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে বন্ধুদের হাতে তুলে দিলেন স্বামী, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী
এনবি/
Leave a reply