বরিশালের বাবুগঞ্জে এক মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। পরিবারের অভিযোগ, বখাটের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অপহরণ ও ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয় তাকে। এরপরই নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় সুমী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্ত রাকিব।
গত ২১ জানুয়ারির কথা। হঠাৎ নিজেকে পুড়িয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ১৪ বছর বয়সী মেয়েটি। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে ভর্তি করা হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে। তারপর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। তবুও বাঁচানো যায়নি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মারা যায় সে।
মায়ের সাথে বাবুগঞ্জের জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতো মেয়েটি। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে প্রাগলপ্রায় মা। সুমীর মা শিউলী বেগমের অভিযোগ, তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিল এলাকার বখাটে রাকিব। বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। তাতে রাজি না হওয়ায় অপহরণ ও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল সে। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রাকিব ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় বাবুগঞ্জ থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলাও হয়েছে। বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনাটির মীমাংসা করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানালেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
/এডব্লিউ
Leave a reply