ইউক্রেনে টানা ১১তম দিনের মতো চলছে রুশ হামলা। ব্যাপক বোমাবর্ষণ হয়েছে রাজধানী কিয়েভের উত্তর পশ্চিমে ইরপিন শহরে।
হামলা অব্যাহত ছিল মারিওপোল ও ভলনোভখাতেও। শনিবার (৫ মার্চ) ইউক্রেনের শহর দুটিতে রাশিয়ার সাময়িক অস্ত্রবিরতি ঘোষণার পরও গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় সরানো যায়নি বেসামরিক নাগরিকদের। তাদের আবারও ফেরত পাঠানো হয়েছে শেল্টার সেন্টারগুলোয়।
বন্দরনগরী মারিওপোলের আবাসিক এলাকাতেও বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে বলে দাবি মেয়রের। শহরজুড়েই ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন। এই মুহূর্তে ইউক্রেনের আরও যুদ্ধবিমান ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দরকার বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সাথে কুলেবার ৪৫ মিনিটের বৈঠক হয় পোল্যান্ড সীমান্তে।
এদিকে, ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ বাড়ছে। এরই মধ্যে সীমান্তবর্তী মারিওপোল দখলে নিতে চালানো হচ্ছে সবচেয়ে জোরালো অভিযান। শহরটি অবরুদ্ধ করে ফেলেছে রুশ সেনারা।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী কিয়েভের খুব কাছে তিন দিকে অবস্থান নিয়েছে রুশ বাহিনী। সেখান থেকেই চালানো হচ্ছে একের পর এক হামলা। তবে নতুন করে হতাহতের তালিকা প্রকাশ করেনি জেলেনস্কি প্রশাসন।
অবশ্য এখনও ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের দাবি, সব জায়গায় তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন তারা। এক ফেসবুক পোস্টে ভোলদেমির জেলেনস্কি মন্তব্য করেন, সংখ্যায় বেশি হলেও ততোটা শক্তিশালী নয় রুশ সেনারা। হতাহতের জন্য সামরিক জোট ন্যাটোর অসহযোগিতামূলক আচরণকে দায়ী করেন তিনি।
/এডব্লিউ
Leave a reply