রুশ সামরিক বাহিনীর কাছে আতঙ্কে পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাভেলিন মিসাইল। ট্যাংক বিধ্বংসী এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ান আর্মার্ড ডিভিশনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে তিনশটি জ্যাভেলিন। যা দিয়ে ২৮০টি রুশ ট্যাংক ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের সেনারা।
ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর আগে দেশটিকে যেসব অস্ত্র দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র তার মধ্যে অন্যতম এফজিএম-১৪৮ মিসাইল। যুদ্ধ শুরুর পর রীতিমতো ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এই অ্যান্টি ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র। পরিণত হয়েছে রুশ আর্মার্ড ডিভিশনের আতঙ্কে। ইউক্রেন বলছে এখন পর্যন্ত ৩০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। যা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে ২৮০টি ট্যাংক।
যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত জ্যাভেলিন মিসাইলে ব্যবহৃত হয়েছে বহুমুখী প্রযুক্তি। ২২ কেজি ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত। সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় ব্যবহার করা যায় যে কোনো পরিবেশে। ইরাক-সিরিয়াতেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বড় ধরনের সফলতা পায় মার্কিন বাহিনী। বিশ্বব্যাপী এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফলতার হার ৯৪ শতাংশ।
প্রশ্ন ওঠে কী কারণে এতটা সফল এই মিসাইল। নির্মাতারা বলছেন, মুল কারণ দুটি। সেন্সর এবং বিস্ফোরক। মিসাইলের কমান্ড লঞ্চ ইউনিটে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সেন্সর। যার মাধ্যমে টার্গেটকে লক করে মিসাইল। এরপর সেটি লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিভাবে আঘাত হানে। থার্মাল ইমেজের মাধ্যমে অন্ধকার বা যেকোনো আবহাওয়ায় এটি আঘাত হানতে সক্ষম।
এর আগে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় রুশ হেলিকপ্টার ঘায়েল করতে মুজাহিদিনদের স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। যা বড় ব্যবধান গড়ে দেয় রুশ-আফগান যুদ্ধে।
/এডব্লিউ
Leave a reply