মানের দৌঁড়ে পিছিয়ে পড়ছে দেশের পাটশিল্প, বৈচিত্র বাড়লেও কমছে কদর

|

পাটপণ্যের মেলা।

পাটপণ্যে বৈচিত্র্য বাড়লেও কদর কমছে। লাভের দেখা পাচ্ছেন না অনেক উদ্যোক্তা। বলছেন, রফতানির বাজারে মানের দৌঁড়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন তারা। পুঁজির অভাবে কিনতে পারছেন না ভালো মেশিনও। তবে সরকার উদ্যোগ নিলে দেশে পাটপণ্যের বড় বাজার তৈরি সম্ভব বলে মনে করেন তারা। তাতে সায় দিচ্ছেন পাট মন্ত্রীও। দাবি, মহামারির দাপটে বড় কর্মপরিকল্পনা পিছিয়ে গেছে।

গত কয়েক দশকে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে রীতিমতো ঘাম ঝরিয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাতে এই শিল্পে এসেছে বৈচিত্র। কিন্তু পাটের মর্ম ক্রেতারা বুঝেছেন খুব কম। তারপরও হাল ছাড়েনি নতুনরা। পুরুষের পাশাপাশি এ খাতে অংশগ্রহণ বেড়েছে নারীর। এমন অনেকের দেখা মিললো পাট পণ্যের প্রদর্শনীতে।

প্রথাগত চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন এখন যুবসমাজের চোখেমুখে। তাদের সুবাদেই এখন দেখা মিলছে পাটের লাগেজ, ব্যাগ, কুশন কাভার, মানিব্যাগ আর শাড়ির। স্টলে জায়গা করে নিয়েছে সোনালী আঁশের তৈরি ব্লেজার আর শার্টও। ক্রেতারা ঘুরেফিরে দেখছেন সব পণ্য। কিন্তু কেনার আগ্রহ বেশ কম।

২৮২ ধরনের দেশি পাট ও পাটজাত পণ্য এখন মিলছে বিশ্ববাজারে। রফতানির অঙ্ক ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে ৪ বার। এর মধ্যে, পাটের থলে ও ব্যাগের রফতানির বেড়েছে ৩০ শতাংশ। হাতে বাছাই আঁশ ও স্ট্যাপল ফাইবারে এ পরিমাণ ১০ শতাংশ। ৫ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে অন্যান্য পণ্যের। তাহলে পাটের প্রচারে গুরুত্ব বাড়াচ্ছে না কেন সরকার?

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলছেন, আমাদের যে আইটেম সেগুলো মানুষ গ্রহণ করেছে, করবে। তাদের জন্য একটি ডিসপ্লে সেন্টার লাগবে। আর সেটা হলো মেলা। করোনার আগে আমরা প্রতি জেলায় জেলায় পাটের করেছি। তবে মহামারির কারণে আমরা সেটা করতে পারিনি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply